আসাদুজ্জামান সাজু।

লালমনিরহাট: লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নির্মাণে বাঁধা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।

554এছাড়া ওই ইউপি সদস্য ও তার লোকজন শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য ক্রয় করা ইট, সীমেন্ট ও রডসহ বিভিন্ন মালামাল জোর করে নিয়ে গেছে বলেও জানা গেছে। এ ঘটনায় স্কুলের প্রধান শিক্ষক হাতীবান্ধা থানায় অভিযোগ দিলেও বুধবার পর্যন্ত তা নথিভুক্ত হয়নি।

জানা যায়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উন্নয়নের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থে হাতীবান্ধা উপজেলায় বেশ কয়েকটি স্কুলে শহীদ মিনার নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়। সে অনুযায়ী উপজেলার ভেলাগুড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য ইট, সিমেন্ট, রডসহ বিভিন্ন মালামাল ক্রয় করে স্কুলের একটি ঘরে রাখা হয়। তবে জায়গা সমস্যার কারণে মঙ্গলবার স্কুলের সীমানা প্রাচীরের সামান্য অংশ ভেঙে সেখানে শহীদ মিনার তৈরির কাজ শুরু করা হয়। এমন অবস্থায় ভেলাগুড়ি ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড সদস্য মজিবর রহমান মজিসহ তার লোকজন তাতে বাঁধা দেয়। এক পর্যায়ে ওই ইউপি সদস্য শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য ক্রয়কৃত মালামাল নিয়ে যায় বলে অভিযোগ স্কুলের শিক্ষকদের।

ভেলাগুড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দিলরুবা ফরিদা বেগম অভিযোগ করে বলেন, মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে স্কুলের ওই শহীদ মিনার নির্মাণের কাজ করছিল মিস্ত্রিরা। এমন সময় মজি মেম্বরসহ কয়েকজন লোক এসে তাদেরকে না জানিয়ে কাজ শুরু করার জন্য গালমন্দ করেন। পরে তারা জোর করে স্কুলের ঘরে থাকা ইট, সিমেন্ট ও রডসহ বিভিন্ন মালামাল ভ্যানে তুলে নিয়ে যান। এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য মজিবর রহমানসহ ৭ জনের নাম উল্লেখ করে হাতীবান্ধা থানায় এজাহার দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

জানতে চাইলে ভেলাগুড়ি ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড সদস্য মজিবর রহমান বলেন, স্কুলের দেয়াল ভেঙে শহীদ মিনার নির্মাণের কাজ করায় দলীয় (আ.লীগের) লোকজন প্রথমে তাতে বাঁধা দেয়। পরে আমি গিয়ে ৮৫ টি ইট, হাফ বস্তা খোয়া ও ১০টি ভাঙা ইট নিয়ে এসে ইউনিয়ন পরিষদে রেখেছি।

ভেলাগুড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মহির উদ্দিন বলেন, প্রধান শিক্ষক আমাকে বিষয়টি জানিয়েছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

উপজেলা প্রথামিক শিক্ষা কর্মকর্তা হাসান আতিকুর রহমান বলেন, প্রধান শিক্ষককে থানায় অভিযোগ দেয়ার কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি ঘটনাটি দেখতে একজন সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

এ ব্যাপরে হাতীবান্ধা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ও সি) রেজাউল করিম বলেন, বিষয়টি হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান দেখতে চেয়েছেন। তাই তার সঙ্গে যোগাযোগ করুন।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here