ষ্টাফ রিপোর্টার :: আজ পবিত্র হজ, মুসলমানদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় জমায়েত। লাব্বাইক ধ্বনিতে এখন মুখর আরাফাতের ময়দান। মহান আল্লাহর দরবারে পাপমুক্তির আকুল বাসনায় লাখো ধর্মপ্রাণ মুসল্লি এখন মিনা থেকে আরাফাতের ময়দানে সমবেত হচ্ছেন।

লাখো ধর্মপ্রাণ মুসল্লি তাঁবুর নগরী মিনা থেকে ফজরের নামাজ আদায় করেই আরাফাতের উদ্দেশে রওনা দেন। আজ সোমবার দুপুরের আগেই মুসল্লিদের আগমনে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠবে আরাফাত ময়দান ও এর আশপাশের এলাকা। ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’ তালবিয়ার ধ্বনিতে মুখর গোটা আরাফাতের ময়দান।

নিয়ম অনুযায়ী হজের দিনে সারাক্ষণ আরাফাতে অবস্থান ফরজ। সে অনুযায়ী, সোমবার সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সমবেত ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা সেখানেই কোরআন পাঠ, নামাজ ও দোয়ায় মশগুল থাকবেন। সবার মুখেই এখন আল্লাহর নাম। বিশ্ব ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনায় দোয়াপ্রার্থী সমবেত প্রত্যেক ধর্মপ্রাণ মুসল্লি।

আরাফাত ময়দানে অবস্থিত বিশ্বের সবচেয়ে বড় মসজিদ, মসজিদে নামিরাহতে খুতবা দেবেন মসজিদে নববীর ইমাম ও খতিব বিচারপতি শেখ হুসেইন বিন আবদুল আজিজ।

খুতবার সঙ্গে নামাজ ও দোয়ায় অংশ নেওয়ার মধ্য দিয়ে আল্লাহর রহমত কামনা করবেন লাখো হজ পালনকারী। একসঙ্গে আদায় করবেন জোহর ও আসরের নামাজও।

সূর্যাস্ত  পর্যন্ত সেখানেই লাব্বাইক ধ্বনির সঙ্গে চলবে একটানা ইবাদত। সূর্যাস্তের পর পাঁচ কিলোমিটার দূরে মুজদালিফার উদ্দেশে আরাফাত ছাড়বেন  মুসল্লিরা। সেখানে মাগরিব ও এশার নামাজ একসঙ্গে আদায়ের পর খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করবেন।

মুজদালিফা থেকে শয়তানের উদ্দেশ্যে মারার জন্য পাথর সংগ্রহ ও ফজরের নামাজ আদায় করে হাজিরা আবারও ফিরবেন মিনায়; পরদিন মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত ইবাদত বন্দেগিতে মশগুল থেকে জামারায় শয়তানকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়ার পর আল্লাহর সন্তষ্টি লাভের জন্য পশু কোরবানি দেবেন। আর এরই মধ্য দিয়ে শেষ হবে পবিত্র হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা।

এর আগে কাবা শরিফের গায়ে পরানো হয় নতুন গিলাফ। হাজিরা আরাফাতের ময়দান থেকে ফিরে কাবা শরিফের গায়ে নতুন গিলাফ দেখতে পান।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here