সোহেল রানা, কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি :: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া উদ্যানের বাঘমারা এলাকায় শিকারীদের পাতা ফাঁদে আটকে প্রাণ গেল একটি মায়া হরিণের।

শুক্রবার দুপুরে মারা যাওয়া হরিণটি উদ্ধার করেছে বন বিভাগ।

স্থানীয় লোকজন জানান,বৃহস্পতিবার বিকালে লাউয়াছড়া উদ্যানের বাঘমারা ক্যাম্পের মাত্র দে’শ গজ দূরে হরিন শিকারীদের পাতা ফাঁদের তারে গলায় ফাঁস লেগে মায়া হরিণটি মরে পড়ে রয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জ্বালানি কাঠ সংগ্রহকারীরা জানান,তারা বৃহস্পতিবার বিকালে এ ফাঁদে এভাবে হরিণ মরে পড়ে থাকতে দেখে দেখে বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগকে খবর দেয়া হয়।

কিন্তু বন বিভাগ হরিণটি উদ্ধার করেনি। সংবাদ পেয়ে শুক্রবার সকালে এ প্রতিনিধিসহ একদল সংবাদকর্মী ঘটনাস’লে যান। সরেজমিন দেখা যায় কোন প্রকার গর্ত না করে একাধিক গাছের সাথে মোটরসাইকেলে ব্যবহৃত এক্সেলেটরের শক্ত তার টেনে ফাঁদ তৈরী করা হয়।

বনাঞ্চলে হরিণ দ্রুত দৌড়ে পালায় বলে এভাবে তার টেনে রাখে শিকারীরা। হরিণটি শিকারীর টেনে রাখা তারে হরিণটির মাথার সিংহসহ গলা আটকে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। হরিণটির উচ্চতা প্রায় ৩ ফুট হবে।

ধারণা করা হচ্ছে বৃহস্পতিবার দিনের কোন এক সময় শিকারীদের পাতা ফাঁদে মায়া হরিণটি আটকে মারা যায়। বৃহস্পতিবার দুপুরে লাউয়াছড়া বন বিটের কর্মকর্তা মাহমুদুর রহমান-এর নেতৃত্বে বনকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌছে মৃত হরিণটি উদ্ধার করেন। পরে হরিণটির ময়না তদন্ত করার পর শুক্রবার বিকালে সেটি লাউয়াছড়া উদ্যাণ এলাকার পাহাড়ি স্থানে মাটিতে পুতে ফেলা হয়।

এ ব্যাপারে বন আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে বন বিভাগ জানায়।

স্থানীয় লোকজন জানান, প্রভাবশালী স্থানীয় একটি শিকারী চক্র নিয়মিতভাবে বনে হরিণ ও বন মোরগ শিকার করছে। বিষয়টি বনকর্মীরা জানলেও তা প্রতিরোধে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করছে না।

অভিযোগ রয়েছে বন বিভাগের কিছু সংখ্যক অসাধু কর্মকর্তাদের সাথে শিকারীদের সু-সম্পর্ক রয়েছে বলেই লউয়াছড়া উদ্যানের সংরক্ষিত বনে নিয়মিত শিকারীরা বন্য প্রাণী শিকার করছে। এ সম্পর্কে কথা বলার জন্য বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (বন্যপ্রাণী) মাহবুবুর রহমানের সাথে কথা বলার চেষ্টা করে তাঁর মুঠোফোনে কয়েক দফা চেষ্টা করা হলে তাহার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here