লক্ষ্মীপুর : লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দড়্গিণ টুমচর এলাকার শ্বশুরবাড়ি থেকে জামাই সোহাগ হোসেন, কমলনগরের মেঘনা নদী থেকে জেলে নুরনবী ও রায়পুরে স্কুল ছাত্রী স্বপ্না আক্তারসহ পৃথক ঘটনায় তিনজনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দড়্গিণ টুমচর গ্রামের শ্বশুর মোস্তফা মিয়ার বাড়িতে জামাই সোহাগ হোসেন বেড়াতে আসে। রাতে স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক কলহের জের ধরে ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে শ্বশুর বাড়ির লোকজন জামাই সোহাগকে পিটিয়ে হত্যা করে লাশ ঘরের পিছনে গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে প্রচারণা চালায়।

খবর পেয়ে পুলিশ আজ সোমবার দুপুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদনেত্মর জন্য লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতাল মর্গে  প্রেরন করে। এ ঘটনায় শ্বাশুড়ি মুরশিদা বেগমকে আটক করেছে পুলিশ। স্ত্রী জাহানারা বেগম টুনী ও শ্বশুর মোসত্মফা মিয়া ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে। নিহত সোহাগ একই উপজেলার বাঞ্চানগর গ্রামের মৃত আবদুর রহিমের ছেলে।

অপরদিকে কমলনগর উপজেলার মেঘনা নদীর লধুয়া মাছ ঘাট থেকে নিখোঁজের দুইদিন পর জেলে নুর নবীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার সকালে তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতাল মর্গে  প্রেরন করেছে পুলিশ।

নিহত জেলে নুরনবী শনিবার বিকেলে কমলনগর উপজেলার মেঘনা নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ হয়।

এছাড়া আজ সোমবার সকালে রায়পুর উপজেলার চরপাতা গ্রাম থেকে এলএম পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণীর ছাত্রী স্বপ্না আক্তারের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতাল মর্গে  প্রেরন করেছে পুলিশ।

নিহত স্কুলছাত্রী স্বপ্না আক্তার একই গ্রামের সিদিক উল্যার মেয়ে। পুলিশ জানান, হত্যা না আত্মহত্যা সেটা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তের পর বলা যাবে আসল রহস্য।

লক্ষ্মীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ইকবাল হোসেন, রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মঞ্জুরম্নল হক আকন্দ ও কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হুমায়ন কবির পৃথক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নিহদের লাশ করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এসব হত্যার ঘটনায় ময়নাতদন্তের পর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

জহিরুল ইসলাম শিবলু/

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here