জহিরুল ইসলাম শিবলু, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি :: চাঁদাবাজির মামলায় লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার কেরোয়া ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য মো. আরিফুর ইসলাম আরিফকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার দুপুরে রায়পুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তারেক আজিজ শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। বাদীর আইনজীবী এডভোকেট জাকির হোসেন মঞ্জু এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মো. আরিফুর ইসলাম আরিফ উপজেলার কেরোয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও রায়পুর উপজেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক। এর আগে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের অভিযোগে রায়পুর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়কের পদ থেকে তাকে বহিস্কার করা হয়।

মামলার এজহার সুত্রে জানা যায়, পূর্ব শত্রুতাকে কেন্দ্র করে গত ২৬ এপ্রিল ইউপি সদস্য মো. আরিফুর ইসলাম আরিফ ৪-৫ সন্ত্রাসীকে নিয়ে রায়পুর উপজেলার লামচরী এলাকার আবু নেওয়াজ টিপুর কাছে পাঁচ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। টিপু তাদের চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে আরিফসহ সন্ত্রাসীরা টিপু ওপর হামলা চালায়। এ সময় ইউপি সদস্য আরিফ তার কোমরে থাকা অবৈধ অস্ত্র বের করে টিপুর বুকে গুলি করার চেষ্টা করে। পরে টিপু চিৎকার করিলে স্থানীয়রা এসে আরিফকে বাঁধা দেয়।

স্থানীয়দের বাঁধার মুখে আরিফ আর টিপুকে গুলি করতে পারেনি। আরিফ স্থানীয়দের বাঁধার মুখে টিপুকে গুলি করতে না পেরে সকলের সামনে টিপুকে হুংকার দিয়ে বলে এলাকায় বসবাস করতে হলে তাকে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দিতে হবে। না হলে টিপুকে যে কোন সময় হত্যা করে লাশ গুম করা হবে। তাদের দাবিকৃত টাকা এক মাসের মধ্যে দিতে ও এ বিষয়ে কোন মামলা না করতে টিপুকে হুমকী দিয়ে ইউপি সদস্য আরিফ সন্ত্রাসীদেরকে নিয়ে চলে যায়। স্থানীয়রা আহত অবস্থায় টিপুকে উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।

এ ঘটনায় গত ২৯ এপ্রিল রায়পুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ইউপি সদস্য মো. আরিফুর ইসলাম আরিফের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন আবু নেওয়াজ টিপু। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে নোয়াখালীর পিবিআইকে মামলাটি তদন্ত করে আলতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ প্রদান করেন।
পিবিআই নোয়াখালীর পুলিশ পরিদর্শক মো. মাহবুবুর রহমান মামলাটি তদন্ত করে বাদীর আনীত অভিযোগ প্রাথমিকভাবে সত্য প্রমাণিত বলে গত ১৭ সেপ্টম্বর আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন।

ওই মামলায় বুধবার ইউপি সদস্য মো. আরিফুর ইসলাম আরিফ রায়পুর চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে আদালত না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

অভিযোগ রয়েছে ইউপি সদস্য মো. আরিফুর ইসলাম আরিফ এলাকায় সন্ত্রাসী বাহিনী গঠন করে চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কার্যক্রমের অভিয়োগে কেরোয়া ইউনিয় আওয়ামী লীগের সভাপতি মোখলেছুর রহমানসহ অনেকে রায়াপুর থানায় একধিক অভিযোগ করেছেন।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here