জহিরুল ইসলাম শিবলু, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি :: লক্ষ্মীপুরে করোনাকে জয়ী করে সেরে উঠেছেন নারী-শিশুসহ ৩ জন। এর মধ্যে একজন কমলনগর উপজেলার চর মার্টিন এলাকার শরীরে করোনা নিয়ে পালিয়ে যাওয়া আলোচিত নারী নয়ন আক্তারও রয়েছেন। সেরে উঠার পর এরই মাঝে হাসপাতাল থেকে নিজ নিজ বাড়িতে ফেরার প্রস্তুতি নিয়ে রাখেন তারা। পরে তাদের নিজ নিজ বাড়িতে পৌঁছে দেন হাসপাতালের কর্মকর্তরা।
সোমবার বিকেলে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু তাহের। সেরে ওঠা বাকিরা হলেন- চর ফলকন গ্রামের মো. ইব্রাহিম ও চর লরেন্স এলাকার শিশু রিহান।
জানা যায়, গত ১৬ এপ্রিল কমলনগরের এ ৩ বাসিন্দার করোনা শনাক্ত হয়। শুরুতে সপ্তাহখানেক তাদের হোম কোয়ারেন্টিনে রেখেই চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে ২৩ এপ্রিল তাদের হাজিরহাট উপকূল কলেজের আইসোলেটেড কেন্দ্রে নেওয়া হয়। যথাযথ স্বাস্থ্য সুরক্ষাসহ অন্যান্য সুবিধা না থাকায় ওই রাতেই তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসা নিয়ে ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠেন তারা তিন জন। হাসপাতালের স্বাভাবিক চিকিৎসা সেবার বাইরে ওষুধ, ইফতারি, খাবার, শিশুখাদ্য ও বিশুদ্ধ পানি দিয়ে ব্যক্তিগতভাবে এ সময় তাদের পাশে ছিলেন হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. রেজাউল করিব রাজিব।
এ রোগীদের সেরে ওঠা প্রসঙ্গে চিকিৎসক রেজাউল করিব রাজিব বলেন, কিছুদিন আগে নারায়ণগঞ্জ থেকে লক্ষ্মীপুরে আসা নয়ন আক্তারের নমুনা সংগ্রহ করতে তিন তিনবার তার বাড়িতে যেতে হয়েছে। বারবার তিনি পালিয়ে যান। পরে খোঁজখবর করে এক পর্যায়ে আত্মগোপন থেকে তাকে বের করে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষায় করোনা পজেটিভ হওয়ার পর চিকৎসা নিয়ে এখন তিনি সুস্থ হয়ে উঠেছেন। ওই নারীসহ, এক পুরুষ ও এক শিশু সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু তাহের বলেন, এ উপজেলায় করোনা শনাক্ত ৫ জনের মধ্যে ৩ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। চিকিৎসা পরবর্তী সময়ে দুইবার করে নমুনা পরীক্ষায় তাদের করোনা নেগেটিভ আসে। তারা এখন এ ভাইরাস মুক্ত ও শারিরিকভাবে সুস্থ হওয়ায় হাসপাতাল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। তাদেরকে হাসপাতাল থেকে নিজ নিজ বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
কমলনগরে করোনা শনাক্ত ৫ জনের মধ্যে এক চিকিৎসকও রয়েছেন। আরেকজন দশ মাস বয়সী এক শিশু। তাদেরও চিকিৎসা চলছে বলেও জানান তিনি।