জহিরুল ইসলাম শিবলু।
লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরের মজচৌধুরীর হাট এখন অতিথি পাখীর মিলন মেলা ও কলতানে মুখর হয়ে উঠেছে। মজুচৌধুরীর হাট এলাকার মেঘনা নদীর দু-পাড়ে বৃস্তিত এলাকা জুড়ে অতিথি পাখিদের দলবদ্ধভাবে বিচরণের এমন দৃশ্য সহজেই আকৃষ্ট করছে আগত পাখী প্রেমীদের।
সদর উপজেলার মজুচৌধুরীর হাট থেকে কমলনগর উপজেলার মতির হাট পর্যন্ত মেঘনা নদীর দু-পাড়ে কানায় কানায় অতিথি পাখীর কলতানে মুখর।
জানা গেছে, প্রতি বছর নভেম্বর মাসের শুরুতে সুদূর চীন, মঙ্গোলিয়া, নেপাল, সাইব্রেরিয়াসহ শীতপ্রধান বিভিন্ন দেশ থেকে বাংলাদেশে ছুটে আসে এসব অতিথি পাখী। শীতের তীব্রতা থেকে নিজেদের রক্ষার জন্য হাজার হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে নানা প্রজাতির এসব অতিথি পাখি এসে দেশের হাতে গোনা কয়েকটি স্থানে ক্ষণস্থায়ী আবাস গড়ে।
শীতের তীব্রতা কমে আসতে থাকলে আবার তার ডানায় ভর করে ফিরে যায় নিজ গন্তব্যে। নানা রঙের পাখীর কলধ্বনিতে মুখরিত এখন মজুচৌধুরীর হাটের চার পাশ এলাকা। আগত পাখীদের মধ্যে রয়েছে পিংহাঁস, বালিহাঁস, গঙ্গাকবুতর, পাতিসরালি, জলময়ুর, ধসরবক, সাদাবক, ডুবুরি, জোবক, কাইম, লেনজা, কালাকোড়া, পিয়ারী ও পানকৌড়ি।
বুধবার সকালে পাখী দেখতে আসা কয়েকজন জানান, প্রতি বছর তীব্র শীতের হাত থেকে বাঁচতে হাজার হাজার মাইল দূর থেকে বাংলাদেশে উড়ে আসে অতিথি পাখী। তার মধ্যে লক্ষ্মীপুরের মজু চৌধুরী হাট এলাকায় এসে থাকে হরেক রকমের অতিথি পাখী। শীত এলে এখানকার নদী পাড়ের দু-পাশ ভরে যায় নানা প্রজাতির অতিথি পাখীতে। পর্যাপ্ত খাবার আর অনুকূল আবাস পেয়ে দিনভর অতিথি পাখীর কলকাকলিতে মুখরিত মেঘনা পাড়ের এই এলাকা।
স্থানীয়রা জানান, গত দুই-থেকে তিন বছর যাবত এই এলাকায় শীতের শুরুতে অতিথি পাখী আসতে শুরু করে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত অতিথি পাখীর কলকাকলিতে ভরে থাকে এই এলাকা। দূর-দুরান্ত থেকে প্রতিদিন কয়েক‘শ মানুষ এই পাখী দেখতে ভিড় জমায় মেঘনার পাড়ে। তবে স্থানীয় কিছু লোক এ সময় অতিথি পাখী শিকারে নেমে পড়ে। তাই প্রশাসনের কাছে তাদের দাবী, যেন অতিথি পাখীর সু-রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরুজ্জামান বলেন, অতিথি পাখী এই এলাকায় আসার কথা শুনেছি, তবে কেউ যদি অতিথি পাখী শিকার করে থাকে তবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।