সবটায় ইক্যুয়েশন
-রোশনী ইয়াসমীন
কবিতা তোলেনি প্রাচীর
দাঁড়ি কমার ভুলে ভয়াবহতা নেই।
প্লেটো থেকে ভলতেয়ারে জন্মানো দর্শন,
বোদলেয়ার থেকে রবীন্দ্র, নজরুল,
যারা পড়েছে ঘুমিয়ে,
জাগার ইচ্ছে হয়নি।
ধ্বংস হয়েছে বুদ্ধের বোধে হেঁটে যাওয়া।
যারা শান দিয়েছে বিরোধের অস্ত্রে,
নকল আদর্শে বেচা বিদ্রোহী।
সেই ভুয়া বিপ্লবীদের অজুহাত বা নিজেকে বাঁচানোর কথা।
জঙ্গলের পশুদেরও জাত থাকে।
খায়না স্বজাতিকে,
শহুরে দুপেয়ে উপকারীকেও
ছিড়তে ছাড়ে না নখ দাঁতে!
শুধু, জেনো রেখো-
সূর্য এখন আকাশ দোকানের পণ্য,
পৃথিবী নিত্য বিক্রি হয় মানুষের বাজারে,
সম্পর্কও শুয়ে থাকে সস্তার গোলাপি চাদরে,
বিশ্বাসের চামড়া ঝোলে ফুটপাতে
প্রেম-ভালোবাসা যা দেখা যায়,
প্রতি প্রভাতে বাসি হয় রাতের মৃত্যু বুকে।
সবটাই ইক্যুয়েশন।
ইক্যুয়াল আর ইক্যুয়ালাইজেশনের সুচিন্তার গুটির খেলা।
দুঃসময়ের ঝড় চিনিয়ে দিয়ে যায়
কতোটা পাশে ছিল উপড়োনো গাছের মাটিটুকু।