ডেস্ক রিপোর্ট::  গেল শুক্রবার ভারতের ওড়িশায় যে রেল দুর্ঘটনা ঘটেছে, সেটি বিশ্বের অন্যতম ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনা। এতে প্রায় ৩০০ জনের মতো প্রাণ হারিয়েছেন।

শুক্রবার সন্ধ্যায় দুর্ঘটনার পরের ঘটনাগুলোর এখনও ভুলতে পারছেন না বাহানগা গ্রামের বাসিন্দা রাজশ্রী বেহেরা। তিনি বলছেন, চোখ বন্ধ করলেই যেন ভেসে উঠছে মুহূর্তগুলি। এখনও! অনেক চেষ্টা করেও মন থেকে মুছে ফেলতে পারছি না রাতটাকে। আমাদের বাড়ির সামনেই থরে থরে স্তূপ করে রাখা হচ্ছিল রক্তাক্ত মৃতদেহগুলো। সারা রাত ধরে চলেছিল সেই কাজ। তার পর একটা সময় একের পর এক গাড়িতে মৃতদেহ বোঝাই করে নিয়ে গেল কিছু লোক। গোটা রাত ধরে প্রতি মুহূর্তে অ্যাম্বুল্যান্সের আসা-যাওয়া আর জখম রোগীদের গোঙানির শব্দ। আমার স্বামী গ্রামের লোকজনের সঙ্গে উদ্ধার কাজে ব্যস্ত। বাড়িতে কিছুতেই একা থাকতে পারছিলাম না। ঘটনার পর দু’দিন কাটলেও, এখনও খাবার মুখে তুলতে পারছি না। ঘুম তো দূরের কথা।

কলকাতার সংবাদমাধ্যমে আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে রাজশ্রী বেহেরার এই অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের বাহানাগা গ্রামের নাম বাইরে আর কত জন জানত! বালেশ্বর থেকে কিছু দূরে, একটি অনামী জনপদ। রোজ কত না ট্রেন এই লাইন দিয়ে ছুটে যায়। বেশিরভাগই দাঁড়ায় না স্টেশনটায়। এখন এই ট্রেন দুর্ঘটনার ফলে সবাই বাহানাগার নাম জেনে গেল। কিন্তু এই ভাবে তো আমরা পরিচিত হতে চাইনি।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here