ডেস্ক রিপোর্ট:: রেলওয়ে পুলিশ ও রেলের কর্মকর্তাদের হাতে গোলাপ ফুল দিয়ে দুর্নীতি রুখে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনি ও তার তিন সহযোগী। তাদের হাতে থাকা প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল ‘লাল গোলাপের শুভেচ্ছা নিন দুর্নীতিকে ভেঙে দিন’।

বাংলাদেশ রেলওয়ের অব্যবস্থাপনা পরিবর্তনে এবং সহজ ডট কম দ্বারা যাত্রী হয়রানির প্রতিবাদ ও ৬ দফা দাবিতে  গত ৭ জুলাই থেকে টানা ৬ দিন ধরে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে গণস্বাক্ষর ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্ট্যাডিজ বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনি। আজ তার এ কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে অংশ নেন হাঙার প্রজেক্টের কর্মকর্তা মাইমুনা আক্তার, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আশিকুর রহমান ও মাহিন রুবেল।

এ বিষয়ে মহিউদ্দিন রনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, সহজ ডট কম দীর্ঘদিন ধরে রেল যাত্রীদের হয়রানি করে আসছে। আমি নিজেও একজন ভুক্তভোগী, তাই আমি প্রতিবাদে নেমেছি। আমি ভোক্তা অধিকারে অভিযোগ করেছি সেখান থেকে এখনো শুনানির তারিখ জানানো হয়নি। তাই আমি সুপ্রিম কোর্টে রিট করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।

আমার অবস্থানের কারণে গত ৯ জুলাই আমাকে এখান থেকে ধাক্কা মেরে বের করে দেওয়া হয়েছিল। একইসঙ্গে আমাকে সরকার বিরোধী হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। এ জন্য আমি গণস্বাক্ষর কর্মসূচি বাতিল করে শুধু অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি। এছাড়া আজ আমি রেলের কর্মকর্তাদের গোলাপের শুভেচ্ছা জানিয়ে দুর্নীতি ভেঙে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছি।

 

মহিউদ্দিন রনি বলেন, যতদিন পর্যন্ত সমস্যার সমাধান না হচ্ছে ততদিন আমিসহ আমার সঙ্গে সংহতি প্রকাশকারীরা এখানে অবস্থান করে যাব।

অবস্থানকারীদের ৬ দফা দাবি হলো,

১. টিকিট ক্রয়ের ক্ষেত্রে সহজ ডট কম কর্তৃক যাত্রী হয়রানি অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। হয়রানির ঘটনায় তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

২. যথোপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে টিকিট কালোবাজারি প্রতিরোধ করতে হবে।

৩. অনলাইন-অফলাইনে টিকিট ক্রয়ের ক্ষেত্রে সর্ব সাধারণের সমান সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।

৪. যাত্রী চাহিদার সঙ্গে সংগতি রেখে ট্রেনের সংখ্যা বৃদ্ধিসহ রেলের অবকাঠামো উন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।

৫. ট্রেনের টিকিট পরীক্ষক ও তত্ত্বাবধায়কসহ অন্যান্য দায়িত্বশীলদের কর্মকাণ্ড সার্বক্ষণিক মনিটর, শক্তিশালী তথ্য সরবরাহ ব্যবস্থা গড়ে তোলার মাধ্যমে রেল সেবার মান বৃদ্ধি করতে হবে।

৬. ট্রেনে ন্যায্য দামে খাবার বিক্রি, বিনামূল্যে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ও স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।

 

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here