স্টাফ রিপোর্টার :: ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাংগী উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় এবং জনবসতি গ্রাম রায়মহল। আর এই গ্রামের পথঘাট পুকুর ডোবা ড্রেন, জীবাণু মুক্ত করতে সিদ্ধান্ত নেন রায়মহল গ্রামের কাস্টমস সুপারিনটেনডেন্ট ফারুক হোসেন এবং লেখক ও মানবাধিকার কর্মী জুঁই জেসমিন।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ‘পরিষ্কার রাখি পরিবার পরিবেশ-করোনা ভাইরাস হবে নিঃশেষ’ এই স্লোগান নিয়ে সারা গ্রামের ছোটো বড় সব রাস্তা, পুকুর, ডোবা, ড্রেনে জীবাণু নাশক ঔষধ স্প্রে করা হয়।
এ সময় ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বার, শিক্ষক, মুক্তিযোদ্ধা, ডাক্তার ও সমাজসেবকসহ গণ্যমান্য ব্যক্তি নিজ হাতে স্প্রে করেন।
স্প্রে করার সময় জুঁই জেসমিন পাড়ার মহিলাদের তাদের স্বাস্থ্যসচেতনায় সজাগ করেন, যাতে ময়লা আবর্জনা বা মলমূত্র ড্রেনে না ফেলা হয়।
এ সময় চেয়ারম্যান ও প্রধান শিক্ষক এডভোকেট জিল্লুর রহমান বলেন, যাতে অকারণে কেউ ঘুরা ফেরা বাইরে না করে এবং দূরত্ব বজায় রাখে। আজকের পর যদি দলবেধে ছেলেরা ঘুরাফেরা করে, তাহলে কঠোর পদক্ষেপ নেবেন ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বার।
রায়মহল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন, প্রত্যেকেই যাতে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকে এবং খাওয়ার আগে পরে খুব ভালো করে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে থাকে, বাড়ি বাড়ি যেন এসব সচেতন মূলক কথা বলা হয়।
এলাকার সমাজ সেবক নাজিমুদ্দিন ও তার স্ত্রী বলেন, করোনায় নয় ভয়, সচেতনতায় আনবো জয়।
এদিকে আর্থিক ভাবে যিনি সহযোগিতা করেছেন ফারুক হোসেন কাস্টমস, তিনি মুঠো ফোনে জানান, এলাকা দূষণ মুক্ত করার পর আমরা গরীব ও মধ্য শ্রেণির পরিবারে সাবান মাস্কসহ প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করবো এবং সবাই যেন যার সামর্থ অনুযায়ী এগিয়ে আসেন।
কনফিডেন্স ফ্যাশনের চেয়ারম্যান সোহাগ মির্জা মুঠো ফোনে জানান, মাস্ক বা খাদ্য সামগ্রী দিয়ে তিনি সহযোগিতা করবেন।
সবার কথা শুনে গ্রামের মানুষ অত্যন্ত খুশি এবং সবার সচেতন মূলক কথা শুনে বেশ সজাগ, নিরাপদ থাকতে এবং অন্যকে নিরাপদে রাখতে শপথ করেন।