রামগতি হাসপাতালআশ্রাফ আলী :: আলেকজান্ডার – সোনাপুর সড়কের ২-৩শ’ মিটারের কাছা রাস্তার ধুলোয় ধূসরিত হয়ে চরম ভোগান্তির স্মীকার হচ্ছে রামগতির হাজার হাজার মানুষ। নদী ভাঙ্গন রোধে “৩১শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল” সংলগ্ন বিকল্প রাস্তা তৈরি করা হলে লক্ষীপুরের রামগতির সাথে পাশ্ববর্তী জেলা নোয়াখালীর একমাত্র মহাসড়কের সকল হাল্কা ও ভারী যানগুলো বিকল্প তৈরি এই কাছা রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে হয়।

ফলে বর্ষাকালে যেমন হাটুগাঁড়া কাদায় জনগদূর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছিল এখনও ধুলোয় চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছে শিক্ষার্থী, রোগী, পর্যটকসহ হাজার হাজার পথযাত্রীরা।

আলেকজান্ডার এ.আর পাইলট হলে পরীক্ষা দিতে আসা রামদয়াল আজিজিয়া স্কুলের এক এস.এস.সি পরীক্ষার্থী জানায়- ” এই রাস্তাটুকু পার হতে নাকে মুখে ধুলা প্রবেশের কারনে আমাদের অনেকেই অসুস্থ হয়ে গিয়েছিল”।

স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কিন্ডারগার্টেনের শত-শত শিক্ষার্থীর যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম এ’রাস্তাটি।

চর আলগী থেকে আলেকজান্ডার ৩১শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা আলেয়া বেগম নামে এক রোগী জানান, “ধুলা-বালির কারনে হাসপাতালে আমাদের খুব অসুবিধা হচ্ছে। এখানের বেড গুলো রাস্তার ধূলোয় নোংরা হয়ে যাচ্ছে। এমন পচন্ড ধুলো উড়ছে শাস-প্রশাস নিতেও অনেক সময় কষ্ট হচ্ছে এখানকার রোগীদের।”

ষড়জমিনে গিয়ে দেখা গেছে, হাসপাতালটির সীমানা প্রাচীর নদী ভাঙ্গন রোধের প্রয়োজনে ভেঙ্গে ফেলার এক বছর পরও তৈরী করা হয়নি এই সীমানা বা সেভপ্রাচীর। চালকগন দ্বেদারছে গাড়ী চালাচ্ছে হাসপাতাল মাঠ দিয়ে। ফলে বায়ু দুষনে রোগীদের চরম কষ্ট সহ্য করতে হচ্ছে।

পরিপাটি হয়ে “আলেকজান্ডার মেঘনা বীচে” বেড়াতে আসা পর্যটকদের অন্য রঙ্গে সাজিয়ে দিচ্ছে রাস্তার ধুলোয়। এমন তিক্ত অভিজ্ঞতায় আগ্রহ হারাচ্ছে নদী উপকূল দর্শনার্থীরাও। এছাডা রাস্তার অসমতল এই অংশটিতে যান-বাহন চলাচল খুবই রিস্কি।

জানা যায়, বছর খানেক আগে হাসপাতাল সংলগ্ন রাস্তার কিছু অংশ মেঘনার ভাঙ্গন কবলে পড়লে তার উপর বেড়ীবাঁধ নির্মাণ করা হয় এবং বিকল্প হিসেবে সংযোগ সড়কটি তৈরি করা হয়।

 

  • আশ্রাফ আলী, বিটিআইএস (অনার্স ৩য় বর্ষ), ইসলামীক ইউনিভার্সিটি, কুষ্টিয়া। hmashraf69@gmail.com
Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here