শ্রীলংকার মাটিতে নিজেদের শততম টেস্ট ম্যাচে জয়লাভ করায় বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১৯ মার্চ রোববার কলম্বোর পি সারা ওভাল স্টেডিয়ামে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কাকে ৪ উইকেটে পরাজিত করে শততম টেস্ট জয়ের গৌরব অর্জন করেন টাইগাররা।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী ছাড়া বাংলাদেশ দলকে আরো অভিনন্দন জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ও সিপিএ নির্বাহী কমিটির চেয়ারপারসন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া, জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
১৯ মার্চ রোববার টেস্ট জয়ের পরপরই এক অভিনন্দন বার্তায় রাষ্ট্রপতি বলেন, শততম টেস্টের এ বিজয় বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের জন্য অন্যতম একটি মাইলফলক। এ জয় বাংলাদেশের ক্রিকেট ও ক্রিকেট অনুরাগীদের আরো উৎসাহিতকরবে এবং ক্রিকেটের উন্নয়নে এর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
রোববার প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম স্বাক্ষরিত এক অভিনন্দন বার্তায় জানানো হয়, শততম টেস্টে জয়ী হওয়ার পর জাতীয় দলের অধিনায়ক মুশফিকুর রহীম এবং সাকিব আল হাসানের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি দলের প্রতিটি সদস্যের জন্য দোয়া করে বলেন, তোমরা ইতিহাস সৃষ্টি করেছ, তোমাদের প্রাণঢালা অভিনন্দন জানাচ্ছি। এরপর প্রধানমন্ত্রী জয় বাংলা বলে কথা শেষ করেন।
সংসদ সচিবালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অভিনন্দন বার্তায় বলেছেন, বিশ্ব ক্রিকেটে উদীয়মান শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে বাংলাদেশ। সবচেয়ে কম সময়ে শততম টেস্ট খেলে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল অনন্য নজির সৃষ্টি করেছে। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের শততম ম্যাচে জয়লাভ ভবিষ্যতে আরো বড় সাফল্য বয়ে আনতে অনুপ্রেরণা যোগাবে।
উল্লেখ্য, কলম্বোর পি সারা ওভালে ঐতিহাসিক ম্যাচটি ৪ উইকেটে জিতল মুশফিক বাহিনী। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে বাংলাদেশ পেল দুর্লভ জয়ের মর্যাদা। শততম টেস্ট জয়ের কৃতিত্ব যে নেই ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দলগুলোরও। এ জয়ে ‘জয় বাংলা কাপ’ বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা ভাগাভাগি করে নিল। দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ হলো ১-১ এ ড্র।