ষ্টাফ রিপোর্টার :: বাংলাদেশে বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে যুদ্ধাপরাধের দায়ে ফাঁসি দেওয়ার প্রায় তিন মাস পর ঢাকার একটি আদালতে তার স্ত্রী ও ছেলের বিচার শুরু হয়েছে।
প্রায় আড়াই বছর আগে মি. চৌধুরীর যুদ্ধাপরাধের রায় ফাঁসের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে তাদের বিচার শুরু হয়েছে। এই মামলায় মোট সাতজনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এ খবর দিয়েছে বিবিসি
সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালের বিচারক আজ সোমবার আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করার আদেশ দিয়েছেন।
আগামী ২৮শে মার্চ থেকে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু করার দিন ঠিক করা হয়েছে।
সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর স্ত্রী ফারহাৎ কাদের চৌধুরী ও ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী আজ আদালতে হাজির হয়েছিলেন। তারা নিজেদের নির্দোষ দাবী করেছেন।
বাংলাদেশে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধে ২০১৩ সালের অক্টোবর মাসে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে মৃত্যুদণ্ড দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
রায় প্রকাশের দিনই সকালে মি. চৌধুরীর পরিবার ও তার আইনজীবীর পক্ষ থেকে রায় ফাঁস হয়ে যাওয়ার অভিযোগ তোলা হয়। রায়ের ‘খসড়া কপিও’ তারা সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন।
রায় ঘোষণার পরদিন ট্রাইব্যুনালের তৎকালীন রেজিস্ট্রার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে ঢাকার একটি থানায় সাধারণ ডায়েরি দায়ের করেন। তার কয়েকদিন পরেই পুলিশের পক্ষ থেকে রায় ফাঁসের মামলাটি দায়ের করা হয়।
এই মামলায় মি. চৌধুরীর আইনজীবী ফখরুল ইসলামকেও আসামী করা হয়েছে। অভিযুক্ত করা হয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের একজন অফিস সহকারী, একজন পরিচ্ছন্নতাকর্মীকেও।
অভিযোগে বলা হয়েছে, তাদের সহযোগিতায় মি. চৌধুরীর পরিবার রায়ের ‘খসড়া কপি’ ফাঁস করে দিয়েছেন।
এই মামলায় স্ত্রী, পুত্র এবং আইনজীবী জামিনে আছেন। একজন পলাতক রয়েছেন।
ট্রাইব্যুনালের ওই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেছিলেন সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী।
তার আপীল খারিজ হয়ে যাওয়ার পর ২০১৫ সালের ২১শে নভেম্বর ফাঁসিতে ঝুলিয়ে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।