রামগতিজহিরুল ইসলাম শিবলু, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি ::
উপকূলীয় জেলা লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার মেঘনার পাড়ে চর আলেকজান্ডার। এখানে প্রতি-নিয়িত জোয়ার-ভাটার খেলা চলে। উঁচু ঢেউ আঁচড়ে পড়ে পাড়ে। জেলেরা নদীতে রূপালি ইলিশ ধরে। মনোরম এ পরিবেশ কার না ভালো লাগে। তাইতো ঈদের ছুটিতে ছেলে-বুড়ো সবাই আলেকজান্ডারের মেঘনা পাড়ে ছুটছেন। দর্শনার্থীদের ভিড়ে উপছে পড়ছে মেঘনা নদীর পাড়। ঈদের দিন থেকে এখানে হাজার-হাজার পর্যটকদের ভিড়। পর্যটকদের এই ভিড় চলবে আরো কয়েকদিন।

রামগতিরামগতি উপকূলীয় উপজেলা। এ জনপদে বিনোদনের কোনো মাধ্যম নেই। তাই আলেকজান্ডার মেঘনা নদীর পাড়ে ছুটে এলে মনের খোরাক মিটে যায়। দলবেঁধে পরিবারের সবাই মিলে ভিড় জমায় এখানে। ঈদকে ঘিরে এখানে প্রাণের উচ্ছ্বাস বেড়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসছে বিনোদন প্রেমীরা।

রামগতিঈদ উপলক্ষ্যে বিভিন্ন স্থান থেকে দল বেঁধে নদী পাড়ে এসে প্রাণের উচ্ছ্বাসে মেতে উঠছে সবাই। নৌকা চড়ে মেঘনা নদীতে ঘুরছে তারা। পরিবারে সদস্যদের সঙ্গে আসা ছোট শিশুরাও উল্লাসে মেতে উটছে।

চর আলেকজান্ডার অব্যাহত ভাঙনে পৌর শহরের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে মেঘনা নদী। উপজেলা পরিষদের বারান্দা থেকে মাত্র ১শ’ গজের দূরত্বে মেঘনা নদীর পাড়।

ভাঙন রোধে এ পাড়ে বাঁধ হয়েছে। বাঁধের ওপর জড়ো হয় সবাই। উপভোগ করে মেঘনা নদীর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। এখানে নতুন বালুর বেলাভূমি। নদীর ঢেউ, জলের মিষ্টি সুর, এসবে মুগ্ধ হয় আগত সবাই। এখানে আসলে বাতাসে দোলে শরীর ও মন, তাই তো সবাই বার-বার ছুটে আসে এ পাড়ে।

জেলা শহর থেকে দল বেঁধে আসা মোশারফ হোসেন মিঠু, রাকিব হোসেন, রেজাউল হক রানা, জাহিদ উদ্দিন বাপ্পি, আবু নোমান মিঠু ও আহসান হাবিব সাগর জানান, শহরের বন্দি জীবন থেকে নদীর পাড়ে এসে অনেক মজা লাগছে। বন্ধুরা সবাই মিলে এসে নৌকা নিয়ে নদীতে ঘুরেছি, নদীর বুকে জেগে উঠা চরে সবাই মিলে অনেক মজা করেছি। তাদের মতে আলেকজান্ডার মেঘনা পাড়ের প্রকৃতি সত্যিই ভালো লাগার মতো।

মেঘনা নদীর ভয়াবহ ভাঙনে আলেকজান্ডার শহর যখন মারাত্মক হুমকির মুখে, ঠিক এমনি মুহুর্তে বর্তমান সরকার সেনাবাহিনীর মাধ্যমে নদীর পাড় রক্ষায় বাঁধ নির্মাণ করেন। এ বাঁধের ফলে নদীতে পলি জমে নদীর পাড়ে বেলাভূমি তৈরি হয়ে মনোরম রূপের সৃষ্টি হয়েছে।

গত কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন উৎসব কেন্দ্রিক ছুটির দিনগুলোতে নদী পাড়ের পাথুরে এই বেড়ী বাঁধে ভিড় জমায় হাজারো ভ্রমণপ্রেমীরা।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here