জহিরুল ইসলাম শিবলু, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি :: লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার রামগতি ষ্টেশন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ফেরদৌসের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতি এবং অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা যায়, ফেরদৌস ওই বিদ্যালয়ের ২০০৬ সালে প্রধান শিক্ষক হিসাবে যোগদান করেন। যোগদানের পর সড়কের পাশে বিদ্যালয়ের জায়গায় ৫টি দোকানঘর নির্মাণ করেন। ওই দোকানঘর গুলি সাহাদাত হোসেন, সোহেল, আলাউদ্দিন ও আবদুল কাদেরকে ব্যবসার জন্য ভাড়া দেন। ওই ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে তিনি প্রতি মাসে এক হাজার ৮শ টাকা ভাড়া আদায় করেন। ভাড়ার টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়ার বিধান থাকলেও তিনি ওই টাকা আত্মসাত করেন।
এ ছাড়া প্রধান শিক্ষক ফেরদৌস বিনামূল্যে বই বিতরণের সময় মিলাদের কথা বলে চাদাঁ আদায়, পরীক্ষার সময় নির্ধারিত ফি’র চেয়ে অতিরিক্ত ফি আদায়, বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের চাপ সৃষ্টি করে প্রাইভেট পড়তে বাধ্য করা এবং উপবৃত্তির জন্য অভিভাবকদের নিকট থেকে অর্থ দাবী করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
বিগত অর্থবছরে বিদ্যালয় উন্নয়নের জন্য ক্ষুদ্র মেরামতের এক লাখ, টয়লেট মেরামতের ২০ হাজার, রুটিন মেরামতের ১০ হাজার ও বিদ্যালয় ভিত্তিক উন্নয়ন পরিকল্পনার (স্লীপ) জন্য ৪০ হাজার টাকা সরকারি বরাদ্দ পায়। সরকারি বরাদ্ধের টাকা দিয়ে বিদ্যালয় উন্নয়নের কাজ বাস্তবায়ন ছাড়াই উক্ত টাকা আত্মসাত করেছেন বলে স্থানীয়রা জানান। এব্যাপারে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকগণ কোন কথা বলতে গেলে শিক্ষকরা বিভিন্ন ধরণের হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
অভিযোগ অস্বীকার করে প্রধান শিক্ষক মো. ফেরদৌস বলেন, স্থানীয় প্রভাবশালী লোকজন বিদ্যালয়ের জায়গা দখল করে দোকানঘর নির্মাণ করেন। এর সাথে আমার সংশ্লিষ্টতা নেই। বিষয়টি আমি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তবে উক্ত সংবাদটি প্রকাশ না করার জন্য তিনি অনুরোধ করেন।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. আয়ুব আলী এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না এবং কেউ অভিযোগ করেননি বলে জানান।