রামগঞ্জে যুবতীকে গণধর্ষণ: গ্রেফতার-১জহিরুল ইসলাম শিবলু, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:: লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে দুই দিন আটকিয়ে রেখে এক যুবতীতে গণধর্ষণ করেছে রামগঞ্জ উপজেলার ভোলকোট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বশির আহম্মেদ মানিকের ছোট ভাই এল জি নাছির ও তার লোকজন।

ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ভোলাকোট ইউনিয়নের আথকরা গ্রামের ঠাকুর বাড়ির আবদুর রশিদের ভাড়া বসত ঘরে। স্থানীয় ভোলাকোট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. বশির আহম্মেদ মানিকের ছোট ভাই এল জি নাছির এবং তার সহযোগী মো. পারভেজ ও আনোয়ার হোসেনসহ ৩ জন ঐ যুবতীকে দুই দিন আটক রেখে দফায়-দফায় ধর্ষণ করে।

বুধবার রাতে স্থানীয় লোকজনের সহযোগীতায় পুলিশ ধর্ষিতাকে উদ্ধার করে রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পুলিশ স্থানীয় গ্রামবাসীদের সহযোগীতায় ধর্ষক আনোয়ার হোসেনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আনোয়ার হোসেন নোয়াখালী জেলার চর জব্বার থানার রসুলপুর গ্রামের জহিরের ছেলে।

পরে বুধবার রাতে ঐ নির্যাতিত যুবতী বাদী হয়ে রামগঞ্জ থানায় ভোলাকোর্ট ইউপি চেয়ারম্যান বশির আহম্মদ মানিকের ভাই নাছিরসহ তিনজনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলার সোনাদিয়া গ্রামের মো. আমিনের যুবতী মেয়েকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ৯ অক্টোবর সোমবার রাতে দেহলা বেপারী বাড়ির একটি পরিত্যাক্ত বসত ঘরে নিয়ে আসে আনোয়ার হোসেন। বিয়ের আশ্বাসে বেশ কয়েকবার আনোয়ার হোসেন জোর পূর্বক তাকে ধর্ষণ করে।

চেয়ারম্যান বশির আহম্মেদ মানিকের ভাই এল জি নাছির ও তার সহযোগী পারভেজ ঘটনাটি জানতে পেরে ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি সমাধানের কথা বলে আনোয়ার হোসেনের সহযোগীতায় যুবতীকে দুই দিন আটক রেখে গণধর্ষণ করে। পরে স্থানীয় এলাকাবাসী বিষয়টি জানতে পেরে রামগঞ্জ থানা পুলিশকে খবর দেয়।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আনোয়ার হোসেন নামের একজনকে গ্রেফতার করলেও এল জি নাছির ও পারভেজ পালিয়ে যায়।

রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. তোতা মিয়া ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, এই ঘটনায় তিনজনকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মূল আসামী আনোয়ার হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। চেয়ারম্যানের ভাইসহ বাকীদের দ্রুত গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।

 

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here