রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের মিছিলে হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। এতে এক ভিক্ষুকসহ ছাত্রদলের ১০ নেতাকর্মী আহত হয়। আহতদেরকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (রামেক), বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্র ও বেসরকারী একটি ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হয়। আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর। ছাত্রলীগের রডের আঘাতে তার একটি হাত ভেঙ্গে গেছে বলে জানা গেছে।
রাবি শাখা ছাত্রদল আহ্বায়ক আরাফাত রেজা আশিকের নেতৃত্বে রোববার দুপুর ১২টার দিকে নবাগত শিক্ষার্থীদের সম্বর্ধনা জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবাশ বাংলাদেশ চত্বর থেকে মিছিল বের করে ছাত্রদল। মিছিলে কয়েকদফা বাধা দেয় পুলিশ। বাধা উপেক্ষা করে মিছিলটি প্রশাসন ভবন ও কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার হয়ে টুকিটাকি চত্বরে পৌছলে জাকির, হাসান, ফিরোজ, শাহীন ও স্থানীয় ক্যাডার হাবীবের নেতৃত্বে ১০/১২ জন ছাত্রলীগ কর্মী রড, হকিস্টিক ও লাঠিসোটা নিয়ে মিছিলে আতর্কিত হামলা চালায় এবং ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এসময় ছাত্রদল কর্মী উজ্জল, জাফর, রাহি, বাবু, ইয়াসিন, আরিফ, কামরুল, সোহেলসহ ছাত্রদলের ১০ নেতাকর্মী আহত হয়। ছাত্রলীগ কর্মীদের ছোড়া ইটের আঘাতে এক ভিক্ষুক মারাত্মকভাবে জখম হয়। পরে কয়েকজন সাংবাদিক ওই ভিক্ষুককে উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে।
টুকিটাকি চত্বর থেকে ছাত্রলীগের ধাওয়া খেয়ে ছাত্রদল নেতাকর্মীরা রবীন্দ্র ভবনে আশ্রয় নেয়। সেখানে প্রবেশ করে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা তান্ডব চালায় এবং ভবনের ভেতরে শ্লোগান দিতে থাকে। ভবনের দ্বিতীয় তলায় ডি ইউনিটে ভর্তিচ্ছুদের সাক্ষাৎকার চলছিল। এসময় ভর্তিচ্ছু, তাদের অভিভাবক এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। পরে একটি মিছিল নিয়ে ছাত্রলীগ নেতাকমীরা ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে।
রাবি শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আরাফাত রেজা আশিক বলেন, ‘ছাত্রলীগ পুলিশের সহায়তায় আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচীতে হামলা চালিয়েছে। তারা ক্যাম্পাসে একদলীয় আধিপত্য বিন্তার করতেই এ হামলা চালিয়েছে। তিনি হামলাকারীদের শাস্তির দাবি জানান’। তিনি বলেন, পুলিশ ছাত্রদলের মিছিলে বাধা ও হামলা চালালেও ছাত্রলীগের মিছিলে কোন রকম বাধা দেয়নি।
এ ব্যাপারে মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আকবর আলী সাংবাদিকদের জানান, পরিস্থিতি শান্ত করা হয়েছে এবং অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/আব্দুল খালেক রিয়াদ/রাজশাহী