মোনাসিফ ফরাজী সজীব, মাদারীপুর প্রতিনিধি :: মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার ইশিবপুর ইউনিয়নের স্থানীয় লুন্দি শেখ রাসেল ডিগ্রী কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ও সাতবাড়িয়া গ্রামের গৃহবধূ ডলি বেগম(১৮)কে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এর প্রতিবাদে আজ রোববার ওই মহাবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কলেজ সামনে টেকেরহাট শ্রীনদী সড়কে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে।
ডলির বড় ভাই হাফিজুর হাওলাদার জানান, প্রায় ছয় মাস পূর্বে উপজেলার সাতবাড়িয়া গ্রামের সুলতান হাওলাদারের মেয়ে ডলির সাথে একই এলাকার বাচ্চু মুন্সীর ছেলে শান্তর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে । পরিবার এ সম্পর্ক মেনে না নেওয়ায় গত দুই মাস পূর্বে শান্ত ও ডলি পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে । বিয়ের পর ডলি তার স্বামীর বাড়িতে থাকতো এবং টিউশনি করে নিজের পড়াশোনার খরচ চালাতো ।
কিন্তু পড়ালেখার বিষয় নিয়ে ডলির সঙ্গে তার স্বামী ও শশুর-শাশুড়ির কলহ চলে আসছিল এবং এমনকি শাশুড়ীও তাকে নির্যাতনও পড়ালেখায় বাধা দিচ্ছিল বলে অভিযোগ করে। এরই জের ধরে শুক্রবার(২৪-১১-১৭) বিকালে ডলিকে তার স্বামী শান্ত শ্বাসরোধ করে হত্যার পর ঘরের আড়ার সাথে তার লাশ ঝুলিয়ে রাখে বলে অভিযোগ করেন নিহতদের স্বজনরা ।
পরে ডলিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষনা করেন ।
ছাত্রী ডলির মা জগ বিবি জানান, আমরা অন্য লোকের মুখে খবর পেয়ে হাসপাতালে যাই। যাওয়ার পর দেখি আমার মেয়ে আর বেচে নেই। আমার বাড়ি আর মেয়ের শ্বশুর বাড়ি বেশি দুরে না । খুব কাছা কাছি। তাও তারা আমাদের কোন খবর দেয়নি।
কলেজ অধ্যক্ষ নাসরিন সুলতানা জানান, ডলি অত্যন্ত মেধাবী ছিল । সাংস্কৃতিক অঙ্গনেও ছিল তার পদচারনা । ডলিকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে বলে সন্দেহ প্রকাশ করেন।
অভিযোগ অস্বীকার করে ডলির স্বামী শান্ত বলেন, ঘটনার দিন আমি ও আমার বাবা ঢাকায় ছিলাম । আমার সাথে ডলির কোন কিছু নিয়ে ঝগড়া হয়নি । কেন সে মারা গেল বুঝতে পারছি না ।
ওসি জিয়াউল মোর্শেদ জানান, হাসপাতাল থেকে খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে মৃত্যুর সঠিক কারন নির্নয়ে ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।