রাজশাহী: রাজশাহীতে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরিক্ষার প্রবেশপত্রে ভুলে ভরপুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ভুলের কারণে শিক্ষার্থীসহ অভিভাবকরা চরম দুশ্চিন্তায় পড়ে গেছে।
প্রবেশপত্রে এরকম ভুলের মধ্যে রাজশাহীর শহীদ মামুন মাহমুদ পুলিশ লাইনস স্কুল অ্যান্ড কলেজের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী রাফিউজ্জামান একজন। তিনি এবছরের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় অংশ নেবে। তার স্কুলের খাতায় নাম মো. রাফিউজ্জামান। কিন্তু শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় অংশ নিতে জেলা শিক্ষা অফিস থেকে যে প্রবেশপত্র সরবরাহ করা হয়েছে তাতে তার নাম দেয়া হয়েছে রাফিকুজ্জামান। আবার একই স্কুলের মো. একরামুলের নাম করা হয়েছে এশরামুল।
শুধু শহীদ মামুন মাহমুদ পুলিশ লাইনস স্কুল অ্যান্ড কলেজ নয়, রাজশাহীর বিভিন্ন স্কুলের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার্থীর নাম, পিতার নাম, জন্ম তারিখ ভুল করা হয়েছে প্রবেশপত্রে। এ নিয়ে শতাধিক মৌখিক অভিযোগ জমা পড়েছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে।
রাজশাহীর শহীদ মামুন মাহমুদ পুলিশ লাইনস স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ গোলাম মাওলা জানান, তিন মাস আগে তাদের কাছ থেকে শিক্ষার্থীদের তথ্য নেয়া হয়েছে। তারা সঠিকভাবে শিক্ষার্থীদের তথ্য দিলেও প্রবেশপত্রে একাধিক শিক্ষার্থীর নাম, পিতার নাম ও জন্ম তারিখ ভুল করা হয়েছে।
রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার কেশরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ শিক্ষার্থীর পিতা ও মাতার নাম ভুল করা হয়েছে। মোদাচ্ছেবুর রহমান রাব্বির পিতার নাম মোসত্মাফিজুর রহমানের পরিবর্তে লেখা হয়েছে মোসত্মাফিজর রহমান, মাকসেদুর রহমান খামারম্নর পিতার নাম জয়নালের পরিবর্তে জয়লাল, জুবায়ের হোসেনের পিতার নাম বাবলু স্বর্ণকারের পরিবর্তে বাবুল স্বর্ণকার, মোদ্দাসির বিলস্নাহর পিতার নাম মনোয়ারম্নলের পরিবর্তে মনোরম্নল, মারম্নফা খাতুনের পিতার নাম কাদেরের পরিবর্তে কাদের এবং ঈশিকা রাণী দে’র মায়ের নাম মনিকা রাণী দে’র পরিবর্তে মনিকা রাণী। এমন বহু ভুলের খবর পাওয়া গেছে উপজেলার বিভিন্ন স্কুল থেকে।
এ বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নফীসা বেগম জানান, এখন প্রবেশপত্র ঠিক করে দেয়া সম্ভব নয়। তারা আপাতত ওই প্রবেশপত্রে পরীক্ষায় অংশ নেবে। পরীক্ষার পর ভুলগুলো সংশোধন করে দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হবে।
তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে মহাপরিচালকের সঙ্গে তারা যোগাযোগ করেছেন। প্রবেশপত্র তৈরির সঙ্গে যুক্ত প্রতিষ্ঠানের ভুলের কারণে এমনটা হয়েছে। তারা ওই প্রতিষ্ঠানটিকে তাগাদা দিয়েছেন।
এস.এইচ.এম তরিকুল ইসলাম/