জুলফিকার জুয়েল, স্টাফ রিপোর্টার, (রংপুর)::
রংপুরের পীরগাছা উপজেলায় স্ত্রীকে নৃসংশভাবে কুপিয়ে হত্যার পর নিজেই থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেছে পাষন্ড স্বামী।
শুক্রবার (৩ জুন) সকাল ৭টার দিকে পীরগাছা থানায় গিয়ে নিজ হাতে স্ত্রীকে খুনের বর্ণনা দিয়ে নিজেকে গ্রেফতারের অনুরোধ করেন মইনুদ্দিন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পীরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরেস চন্দ্র। পরে তাকে নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত শাবল ও একটি রক্তাক্ত লুঙ্গি উদ্ধার করে পুলিশ।
দুই সন্তান আর পোষাক শ্রমিক স্ত্রী আয়শাকে নিয়ে ঢাকায় থাকতেন রিকশাচালক মইনুদ্দিন। বুধবার ঢাকা থেকে পীরগাছার অন্নদানগরের খামারপাড়ার বাড়িতে আসেন তারা।
পরিবারের সদস্য ও প্রতিবেশীরা জানান, বৃহস্পতিবার রাতে ফারুক নামে এক যুবকের সঙ্গে ফোনে কথা বলা নিয়ে স্ত্রী আয়শার সঙ্গে ঝগড়াঝাটি শুরু হয়। পরে শুক্রবার সকালে নিজেদের শোয়ার ঘর থেকে আয়শার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলামসহ অনেকের অভিযোগ, এর আগেও আয়শার পরকীয়া প্রেমের ঘটনা নিয়ে এলাকায় বিচার-শালিস হয়েছিল।
মইনুদ্দিনকে নিয়ে রংপুর জেলা পুলিশের সি সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আশরাফুল ইসলাম, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সরেসচন্দ্রসহ পুলিশের বেশ কয়েকজন সিনিয়র অফিসার সকাল ১০টার দিকে ঘটনাস্থলে আসেন। মইনুদ্দিন নিজে ঘরের ভেতর আয়শার লাশের পাশ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত শাবল ও একটি রক্তাক্ত লুঙ্গি বের করে দেন। এর আগে সকাল ৭টার দিকে মইনুদ্দিন থানায় গিয়ে স্ত্রী আয়শাকে হত্যা করার কথা জানিয়ে আত্মসমর্পণ করেন।
পীরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইউনাইটেড নিউজ২৪কে জানান, মইনুদ্দিন নামে ওই ব্যক্তির দাবি পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়া স্ত্রীকে পথে ফেরাতে ব্যর্থ হয়ে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে তাকে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। মইনুদ্দিন স্ত্রী আয়শাকে নিয়ে ঢাকায় বসবাস করলেও গত ২৯ মে উপজেলার অন্নদানগরে আসেন। বৃহস্পতিবার আয়শার পরকীয়া প্রেমিক ফারুক ফোনে কথা বললে এনিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া-ঝাটি শুরু হয়। এক পর্যায়ে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here