রংপুরে পুলিশী হেফাজতে নারী নির্যাতনের অভিযোগে কাউনিয়া থানায় মামলা করা হলেও তা ২৪ ঘন্টায়ও আমলে নেয়নি থানা পুলিশ। এনিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে অসনে-াষ দেখা দিয়েছে। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে তাদের অভিযোগটি আমলে নেয়া হবে।

কাউনিয়ার বরুয়া হাটের রঘুনাথপুর গ্রামের সোলেমান মিয়ার থানায় অভিযোগে জানা গেছে, কাউনিয়া থানার এসআই আবু বক্কর সিদ্দিকসহ ৭ পুলিশ জমি সংক্রান- মামলার বাদির কথায় প্রভাবিত হয়ে ২ জানুয়ারী তার বোন ও ভাইয়ের উপর অমানুষিক নির্যাতন চালায়। তারা হলেন, বাসিরন বেওয়া (৩৪) ও শফিকুল ইসলাম (৩৬)। এসময় পুলিশ বাসিরনের চুলের মুঠি ধরে টেনে হিচড়ে থানায় নিয়ে যায়। সেখানেও তাদের উপর চলে নির্যাতন। এই নির্যাতনের বিষয়টি কাউকে জানালে ক্রস ফায়ারের হুমকি দেয় তাদের। নির্যাতনের পর তাদের জেলে পাঠানো হলে বসিরন বেওয়া ৪ জানুয়ারী আদালত থেকে জামিন পেয়ে এখন কাউনিয়া স্বাস’্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার বড় ভাই শফিকুল ইসলামকে গতকাল মঙ্গলবার আদালত জামিন দিয়েছে। সে এখনও অসুস’্য অবস’ায় রয়েছে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। নির্যাতিতদের অভিযোগ, জমি সংক্রান- বিরোধে বিমাতা বোনের করা মামলার আগে তাদের গ্রেফতার করে নির্যাতন চালােেনা হয়।

এদিকে, সোলেমান মিয়ার অভিযোগে জানা যায়, গত ৯ জানুয়ারী কাউনিয়া থানায় পুলিশী নির্যাতনের শিকার হওয়া তাদের বড় ভাই কাউনিয়া থানায় অভিযুক্ত ৭ পুলিশের বিরুদ্ধে একটি এজাহার জমা দিয়েছেন।

কাউনিয়া থানার ওসি আসলাম ইকবাল ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম কে জানান, পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ পত্র পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, এই মামলাটি আমলে নেয়া হবে কিনা তার জন্য আইজিকে জানাতে হবে। তবে এরিপোর্ট লেখা পর্যন- থানায় মামলাটি রুজু হয়নি।

উল্লেখ্য, পারিবারিক বিরোধকে কেন্দ্র করে তার বিমাতা বোন আম্বিয়া বেগম ৩ জানুয়ারী চার ভাই সহ ১০ জনের বিরুদ্ধে কাউনিয়া থানায় মামলা করে। পুলিশ মামলাটি রেকর্ড করে রাত ১২টা ১৫ মিনিটে। মামলা রেকর্ডের ৩৫ মিনিট আগে পুলিশ বাসিরন ও তার বড় ভাই শফিকুলকে বাড়ি থেকে গ্রেফতারের পর থানায় নিয়ে আসে। গ্রেফতারকৃতদের পরের দিন ৪ জানুয়ারী বুধবার আদালতে সোপর্দ করা হয়। এদিকে এলাকাবাসী সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, পুলিশ বাদির কাছে অর্থ নিয়ে তাদের ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালিয়ে মানবাধিকার লংঘন করেছেন। তারা আরও বলেন বাসিরন বেওয়া সমস- শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মামলা রুজু না হওয়ায় তাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে বলে তারা জানান।

জহুরুল ইসলাম জহির, রংপুর

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here