রংপুর খাদ্য  অধিদপ্তরের শুক্রবার অনুষ্টিত উপ-সহকারী খাদ্য পরিদর্শক পদে নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাসঁ হয়েছে। মেধাবী পরীক্ষার্থীরা এই নিয়োগ পরীক্ষা বাতিলের দাবী জানিয়ে বলেন, এভাবে সকল পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হলে দেশ মেধা শুন্য হয়ে পড়বে। তারা এর সাথে জড়িতদের খুজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করেছেন। বৃহস্পতিবার রাতে ফাসঁ হওয়া প্রশ্নপত্রের ফটোকপি বিক্রি হয়েছে ২০ হাজার থেকে ৫’শ টাকা পর্যন্ত। এসব প্রশ্নপত্রের ক্রেতা ছিলেন সাধারণ পরীক্ষার্থীরা।

চাকরি প্রার্থীদের অভিযোগে জানা গেছে, গোলপ ও শাপলা সেট নামের দুটি প্রশ্নপত্র ফাসঁ হয়ে যায়। এর মধ্যে শাপলা নামের প্রশ্নপত্রসেটটি হুবহু কমন পড়ে। সেই সেটটির প্রথম প্রশ্ন ছিল বঙ্গিম চন্দ্র ট্রপ্যাধয়ের রচিত প্রথম উপন্যাস কোনটি, দ্বিতীয় প্রশ্নছিল বাংলাদেশর জাতীয় সংগীতের রচয়িতা কে এবং শেষ প্রশ্ন ছিল কোনটি বাংলাদেশের পাহাড়ি দ্বীপ।

জানা গেছে, একদল তরুণ এসব প্রশ্নপত্র বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর খামার মোড় , সেনপাড়ার , ট্রাক স্ট্যান্ড, কলেজপাড়া, পার্কমোড় এলাকার বেশ কয়েকটি ছাত্রবাসে রাত ভর চাকুরি ইচ্ছুক প্রার্থীদের সরবরাহ করেছে অর্থের বিনিময়ে। এসব প্রশ্নপত্র কিনে তারা শুক্রবার অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করেছে। মনিরুজ্জামান নামের এক প্রার্থী জানায়, আমরা কয়েকজন বন্ধু ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে ওই দুটি সেট কিনে সেন পাড়ার একটি বাসায় পড়ে পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করেছি। পরীক্ষার হলে গিয়ে দেখি শাপলা নামের সেটটি হুবহু কমন পড়েছে।

রংপুর জেলা খাদ্য কর্মকর্তা খাদেমুল ইসলাম হিরু জানান, কতজন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছে তা এই মহুর্তে বলা সম্ভব নয়। তবে তিনি প্রশ্নপত্র ফাসের বিষয়টি জানেন না বলে জানান। এদিকে রংপুর ডিবি পুলিশের ওসি গোলাম মাহফীজুর রহমান জানান আমরা প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়টি বৃহস্পতিবার রাতেই শুনেছি। কিন্তু অনেক তল্লাসীর পরেও কোন হদিস পাইনি।

ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/জহুরুল ইসলাম/রংপুর

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here