ইউনাইটেড নিউজ ডেস্ক :: শিক্ষকের যৌন লালসার শিকার ছাত্রী। এহেন ঘৃণ্য ঘটনার নজির আগেও বহুবার এসেছে খবরের শিরোনামে। কিন্তু রোমানিয়ার এই অধ্যাপকের কীর্তি যেন অতীতের সব নজিরকে ছাপিয়ে গেল।
দিনের পর দিন নিজের ডিপার্টমেন্টের ছাত্রীদের যৌন অত্যাচারের অপরাধে গ্রেপ্তার হওয়ার পর পুলিশি তল্লাশিতে অধ্যাপকের ডেস্কে মিলেছে কয়েকশো কনডম আর ভায়াগ্রা। রোমানিয়ার ইউনিভার্সিটি অফ মেডিসিন অ্যান্ড ফার্মাসির অধ্যাপকের কীর্তি রীতিমতো আলোড়ন ফেলে দিয়েছে গোটা দেশে।
বছর ৫১-র এই ‘কীর্তিমান’ অধ্যাপকের নাম দুমিত্রু পাদুরারু।
পুলিশের কাছে সে স্বীকার করেছে, পরীক্ষায় পাস করানোর জন্য ছাত্রীদের ‘ওরাল সেক্স’ করতে সে বাধ্য করত। কোনও ছাত্রী তার ‘কামুক’ প্রস্তাবে রাজি না হলে অবধারিত ভাবে আটকে যেত ডিগ্রি। কয়েকদিন আগে এক ছাত্রী ইউনিভার্সিটিতে ভরতি হতে গেলে, তাঁকেও দুমিত্রু ‘ওরাল সেক্স’-এর প্রস্তাব দেয়। ছাত্রীটি পুলিশে অভিযোগ জানান। অধ্যাপককে হাতেনাতে ধরতে বিশ্ববিদ্যালয়েরই অন্য এক ছাত্রীকে টোপ হিসেবে ব্যবহার করে পুলিশ।
পুলিশের কাছে সে স্বীকার করেছে, পরীক্ষায় পাস করানোর জন্য ছাত্রীদের ‘ওরাল সেক্স’ করতে সে বাধ্য করত। কোনও ছাত্রী তার ‘কামুক’ প্রস্তাবে রাজি না হলে অবধারিত ভাবে আটকে যেত ডিগ্রি। কয়েকদিন আগে এক ছাত্রী ইউনিভার্সিটিতে ভরতি হতে গেলে, তাঁকেও দুমিত্রু ‘ওরাল সেক্স’-এর প্রস্তাব দেয়। ছাত্রীটি পুলিশে অভিযোগ জানান। অধ্যাপককে হাতেনাতে ধরতে বিশ্ববিদ্যালয়েরই অন্য এক ছাত্রীকে টোপ হিসেবে ব্যবহার করে পুলিশ।
সিসিটিভি-তে দেখা যায়, অধ্যাপক ওই ছাত্রীকে বলছে, ‘দ্বিতীয় সেমেস্টারের প্রত্যেক সপ্তাহে আমি তোমার জন্য অপেক্ষা করব। আমি যে রকম পোশাক পরতে বলব, সেই রকম পোশাক পরেই আমার সামনে দাঁড়াবে। আমার হাঁটুর উপর বসবে। তোমার কাছে ১০ সেকেন্ড রয়েছে। ভেবে দেখ, রাজি থাকলে তোমাকে ভালো মার্কস দিয়ে পাশ করানোর দায়িত্ব আমার।’
এরপরই পুলিশ দুমিত্রুকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশ জানতে পারে, দুমিত্রুকে প্রাণে মারার নাকি একাধিক বার চেষ্টা করা হয়েছে। একবার তার গাড়িতে বোমা রাখা হয়েছিল। হত্যার হুমকি দিয়ে চিঠিও পাঠিয়ে ছিল কেউ কেউ। কিন্তু কোনও ভাবেই নিজের স্বভাব থেকে একচুলও সরেনি দুমিত্রু। আদালত ওই অধ্যাপককে পুলিশ হেপাজতের নির্দেশ দিয়েছে।