জহিরুল ইসলাম শিবলু লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি :: লক্ষ্মীপুর পৌরসভার দক্ষিণ মজুপুর এলাকায় যৌতুক না পাওয়ায় নববধূ শারমিন আক্তার রিমিকে শ্বাসরোধ ও পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ নিহত নববধূর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করেছে। যৌতুক ও পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ এনে নিহতের বাবা সিদ্দিক উল্লাহ বাদী হয়ে সদর থানায় স্বামী দেলোয়ার হোসেন, তার বাবা নুর নবী ও মা এবং ভাইসহ পাঁচজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ ও নিহতের আত্মীয় স্বজন জানায়, লক্ষ্মীপুর পৌরসভার মজুপুর গ্রামের নুর নবীর ছেলে দেলোয়ার হোসেন সদর উপজেলার চর রুহিতা ইউনিয়নের চরমন্ডল গ্রামের সিদ্দিক উল্লার মেয়ে শারমিন আক্তারকে ভালোবেসে গত তিন মাস আগে বিবাহ করেন। বিয়ের পর নববধূ শারমিন আক্তার রিমিকে দেলোয়ার হোসেন নিজ বাড়িতে নিয়ে যায়। কিন’ এ বিয়ে মেনে নেয়নি দেলোয়ার হোসেনের পরিবার।
এরপর থেকে শারমিন আক্তার রিমির পরিবারের কাছে স্বামী দেলোয়ার হোসেন ও তার পরিবারের লোকজন দাবী করে যৌতুকের টাকা। যৌতুকের টাকা না দেয়ায় প্রায়ই শারমিন আক্তার রিমিকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে স্বামীসহ পরিবারের লোকজন।
এ নিয়ে সোমবার রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। ঝগড়ার এক পর্যায়ে দেলোয়ার হোসেন বেদম মারধর করে স্ত্রী শারমিন আক্তারকে। পরে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে স্বামীসহ পরিবারের অন্যরা।
এরপর শ্বশুর বাড়ীর লোকজন শারমিন আক্তার রিমি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে এলাকায় প্রচার করে।
রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করে।
লক্ষ্মীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আবদুল্লাহ আল মামুন ভূঁইয়া জানান, নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় যৌতুক ও হত্যার অভিযোগে নিহতের বাবা বাদী হয়ে সদর থানায় স্বামীসহ পাঁচজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।