সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার নারিকুলি এলাকায় যৌথ বাহিনীর সাথে সংঘর্ষে আবুল কালাম ও মারুফ হোসেন নামের দুই শিবির কর্মী নিহত হয়েছে।
রোববার ভোর সাড়ে ৪ টার দিকে সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটেছে।
এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ২টি পাইপগান, ৫ রাউন্ড কার্তুজ, ৫টি হাত বোমা ও ২টি চাপাতি উদ্ধার করা যৌথ বাহিনী।
এ সময় যৌথ বাহিনীর তিন সদস্য আহত হয়েছে।
পুলিশ জানায়, দেবহাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু রায়হান হত্যা মামলার আসামী শিবির কর্মী মারুফ হোসেনকে গত শুক্রবার রাতে গ্রেফতার করে যৌথবাহিনী।
পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পালিয়ে যাওয়ার সময় কুলিয়া এলাকা থেকে শনিবার সকালে রায়হান হত্যায় সক্রিয় অংশগ্রহনকারী দেবহাটা থানা ছাত্র শিবিরর সেক্রেটারী আবুল কালামকেও গ্রেফতার করা হয়।
রোববার রাতে যৌথ বাহিনী তাদেরকে নিয়ে দেবহাটার নারিকুলি এলাকায় যায় আসামী ধরতে। এ সময় তাদের কাছ থেকে জামায়াত-শিবির আটক দুই শিবির কর্মীকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করলে সংঘর্ষ বাঁধে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে আবুল কালাম ও মারুফ হোসেন আহত হলে তাদেরকে প্রথমে দেবহাটার সখিপুর স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে ও পরে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে মৃত ঘোষনা করে।
এ ঘটনায় যৌথ বাহিনীর সদস্য পুলিশ কনস্টেবল মেহেদী হাসান, কনস্টেবল আব্দুস সালামসহ ৩ জন আহত হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ২টি অস্ত্র,২টি চাপাতি,৫টি হাত বোমা ও ৫ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার হয়েছে।
দেবহাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তারক বিশ্বাস ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, নিহত মারুফ হোসেন দেবহাটা উপজেলার কুলিয়া গ্রামের মৃত আশরাফুলের ছেলে ও আবুল কালাম একই গ্রামের আকবর আলীর ছেলে। তাদের বিরুদ্ধে হত্যাসহ একাধিক নাশকতার অভিযোগ রয়েছে।
এম.আমিনূর রহমান/