ডেস্ক নিউজ :: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যে আরেকটি যুদ্ধ শুরু করতে নয়, যুদ্ধ ঠেকাতেই ইরানের শীর্ষ সামরিক কমান্ডার কাসেম সোলেমানিকে হত্যা করা হয়েছে। শুক্রবার বাগদাদে বিমান হামলায় সোলেমানির ‘সন্ত্রাসের রাজত্ব’ শেষ হয়েছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।ভারতের রাজধানী দিল্লিতে সন্ত্রাসী হামলায়ও সোলেমানির হাত ছিল বলে তিনি দাবি করেন।
শনিবার ফ্লোরিডায় এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প এসব দাবি করেন। সোলেমানিকে হত্যার পর পাল্টা হামলার আশঙ্কায় যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি বড় শহরে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ৬২ বছর বয়সী সোলেমানিকে হত্যার ‘ভয়ংকর বদলা’ নেয়ার হুশিয়ারি দিয়েছে তেহরান।
এসব নিয়ে মধ্যপ্রাচ্য ঘিরে উত্তেজনা আরও বাড়াবে বলে বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন। এদিকে বাগদাদে শনিবার ইরানপন্থী পপুলার মোবিলাইজেশন ফোর্সের (পিএমএফ) ওপর মার্কিন বাহিনী হামলা চালিয়েছে। এতে ছয়জন নিহত হয়েছেন। এ অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্র এরই মধ্যে আরও সাড়ে তিন হাজার সেনা পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে। খবর বিবিসি, এপি ও রয়টার্সের।
ফ্লোরিডার অবকাশযাপন কেন্দ্র মার-আ-লগোয় সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, ‘বিশ্বের এক নম্বর সন্ত্রাসী কাসেম সোলেমানিকে হত্যায় মার্কিন সেনাবাহিনী নির্ভুল অভিযান চালিয়েছে। মার্কিন কূটনীতিক ও সামরিক কর্মকর্তাদের ওপর ভয়াবহ ও নির্মম হামলার পরিকল্পনা করেছিলেন সোলেমানি, কিন্তু আমরা তাকে ধরে ফেলি ও সরিয়ে দিই।’
ট্রাম্প বলেন, দিল্লি থেকে লন্ডন পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে সংঘটিত সন্ত্রাসবাদী হামলার ষড়যন্ত্রে সোলেমানি জড়িত ছিলেন। তাকে হত্যার মধ্য দিয়ে ‘সন্ত্রাসের রাজত্ব’ শেষ হয়েছে। দিল্লির কোনো হামলার সঙ্গে সোলেমানির সংশ্লিষ্টতা ছিল, তা নির্দিষ্ট করে তিনি বলেননি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, ২০১২ সালে ভারতে ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর স্ত্রীর গাড়িতে বোমা হামলার দিকে তিনি ইঙ্গিত করেছেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আরও বলেন, ‘নিরপরাধ মানুষ হত্যাকে সোলেমানি তার বদভ্যাসে পরিণত করেছিলেন। দিল্লি থেকে লন্ডন পর্যন্ত সন্ত্রাসবাদী চক্রান্তে তার ভূমিকা ছিল। আমরা সোলেমানির অত্যাচারের শিকার হওয়া বহু মানুষের কথা স্মরণ করছি এবং এটা জেনে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছি যে তার সন্ত্রাসের রাজত্ব শেষ।’