মালিক উজ জামান, যশোর প্রতিনিধি ::
যশোর শিক্ষাবোর্ডের অধীনে এ বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষায় মোট ১ লাখ ৭০ হাজার ৩৭৭ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিবে। দেশের অন্যান্য শিক্ষাবোর্ডের মতো গতকাল ১৫ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার থেকে যশোর শিক্ষাবোর্ডেও এসএসসি পরীক্ষা শুরু হয়েছে। এ শিক্ষাবোর্ডের অধীনে ১০ জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৮৫ হাজার ৫৯৯ জন ছাত্র এবং ৮৪ হাজার ৭৭৮ জন ছাত্রী এ পরীক্ষায় অংশ নিবে। ২৯৩টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
যশোর শিক্ষাবোর্ডের অধীনে জেলাগুলো হচ্ছে, যশোর, নড়াইল, ঝিনাইদহ, মাগুরা, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, সাতক্ষীরা,
খুলনা ও বাগেরহাট। শিক্ষাবোর্ড সূত্র জানায়, এ বছর যশোর জেলায় ৫২টি কেন্দ্রে ২৮ হাজার ৫২ জন পরীক্ষার্থী, নড়াইলে ১৪টি কেন্দ্রে ৮ হাজার ১৯৩ জন, ঝিনাইদহে ৩৬টি কেন্দ্রে ১৯ হাজার ৯০৩ জন,মাগুরায় ১৭টি কেন্দ্রে ১১ হাজার ৮৬৫ জন, কুষ্টিয়ায় ৩১টি কেন্দ্রে ২৪ হাজার ১৫৩ জন, মেহেরপুরে ১৩টি কেন্দ্রে ৭ হাজার ৭২৪ জন, চুয়াডাঙ্গায় ১৮টি কেন্দ্রে ১১ হাজার ১২২ জন,সাতক্ষীরায় ২৭টি কেন্দ্রে ১৯ হাজার ৭০ জন, খুলনায় ৫৮টি কেন্দ্রে ২৬ হাজার ৮ জন এবং বাগেরহাট জেলায় ২৭টি কেন্দ্রে ১৪ হাজার ২৮৭ জন পরীক্ষার্থী রয়েছে।
যশোর শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মাধব চন্দ্র রুদ্র জানান, বোর্ড কর্তৃপক্ষ শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত এবং পরীক্ষাকেন্দ্রগুলো নকলমুক্ত করার জন্য সর্বাত্নক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার নকলমুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা গ্রহণের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং সরকারের প্রতিশ্রুতি সফল করার জন্য বোর্ড র্কর্তৃপক্ষ আন্তরিক কাজ করে যাচ্ছে। তবে করোনার মধ্যে কিছু মেয়ের বিবাহ হওয়ায় তারা ঝরে গেছে। অনেক ছেলে শিক্ষার্থী পড়াশুনা বন্ধ করায় তারা পরীক্ষা দিচ্ছেনা। এতে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কিছুটা কমেছে।
এই বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( শিক্ষা ও আইসিটি) মোহাম্মদ মনোয়ার হোসেন জানান, ‘যশোরের সকল কেন্দ্র সচিবদের ৯টি নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। নির্দেশনা গুলো হচ্ছে পরীক্ষা কেন্দ্রের ২০০ গজের মধ্যে পাঁচ বা ততোধিক ব্যক্তির সমাবেশ, সকল প্রকার আগ্নেয়াস্ত্র, লাঠি, চাকু ধারালো অস্ত্র ব্যবহার, যে কোন মাইক্রোফোন ও লাউড স্পিকার ব্যবহার ব্যবহার করা যাবে না। পরীক্ষার কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা, কর্মচারী ও পরীক্ষার্থীদের বা চলাচলে কোন প্রকার বাধা প্রদান করা যাবে না। পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে কোচিংয়ে শিক্ষককে পরীক্ষা কেন্দ্রের আশেপাশে পাওয়া গেলে তাৎক্ষনিক মোবাইল কোর্ট আইনে দন্ড প্রদান করা হবে বলে জানানো হয়েছে।