ম্যাসাজ পার্লার নিয়ে মানুষের কৌতূহলের অন্ত নেই। ‘রিল্যাক্সিং বডি ম্যাসাজ’ সংক্রান্ত বিজ্ঞাপন খবরের কাগজে বা ল্যামপোস্টের গায়ে দেখলেই মনে প্রশ্ন জেগে ওঠে, ঠিক কী হয় এই সমস্ত ম্যাসাজ পার্লারের ভিতরে? সেই কৌতূহলকে কিছুটা নিরসন করার জন্যই সম্প্রতি একটি ভিডিও প্রকাশ হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

কী রয়েছে এই ভিডিও-এ? মুম্বইয়ের একটি ম্যাসাজ পার্লারে বডি ম্যাসাজ নিতে গিয়েছিলেন এক যুবক। সারা সপ্তাহের কাজকর্মের পরে সপ্তাহান্তে রিল্যাক্সেশনের উদ্দেশ্যেই ম্যাসাজ পার্লারের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। পার্লারে পৌঁছনোর পরে একটি নির্দিষ্ট ঘরে তাঁকে যেতে বলা হয়। সেই ঘরে গিয়ে তিনি দেখেন, এক তরুণী তাঁকে ম্যাসাজ করার জন্য অপেক্ষা করছেন। কমলা শার্ট এবং হট প্যান্ট পরিহিত সুন্দরী তরুণীকে দেখে প্রথমে কিছুটা ঘাবড়েই যান যুবক। তিনি ভাবতেই পারেননি এক জন পুরুষকে ম্যাসাজ করার জন্য উপস্থিত থাকবেন এক তরুণী। প্রাথমিক বিহ্বলতা কাটিয়ে যুবক ম্যাসাজের জন্য নির্দিষ্ট বিছানায় বসেন। তরুণী তাঁকে বলেন, ‘স্যার, আপনি আপনার টি-শার্টটা খুলে নিন।’ যুবক যখন শার্ট খুলছেন, তখনই তিনি লক্ষ্য করেন, তরুণীও নিজের শার্টটা খুলে ফেললেন। কী কাণ্ড! ম্যাসেজ করার জন্য ম্যাসিওরকে পোশাক খুলতে হবে কেন! সাসপেন্স বাড়িয়ে তরুণী এ বার যুবককে বলেন, ‘স্যার, আপনি শুয়ে পড়ুন।’ যুবক তা-ই করেন। তাঁর শরীরের নিম্নাংশে তোয়ালে চাপা দিয়ে কোমল হাতে তরুণী ম্যাসাজ শুরু করেন। কিন্তু তখনও যুবকের ধারণা ছিল না, কী হতে চলেছে তাঁর সঙ্গে।

ম্যাসাজ যখন শেষের মুখে তরুণী তখন কোমল স্বরে যুবককে হঠাৎই বলেন, ‘স্যার, আপনি কি হ্যাপি এন্ডিং চান?’ প্রশ্নটার অশালীন ইঙ্গিত বুঝতে অসুবিধা হয়নি যুবকের। তিনি তাড়াতাড়ি বলেন, ‘না না, আমি নরম্যাল ম্যাসাজ চাই।’ তরুণী কিন্তু ‘হ্যাপি এন্ডিং’-এর জন্য জোরাজুরি করতে থাকেন। এমন সময়ে আচমকা ঘরের দরজা খুলে ঢুকে পড়েন এক বিশালদেহী পুলিশ অফিসার। সঙ্গে সঙ্গে তরুণীও ভোল বদলে ফেলেন। তিনি চিৎকার করে বলে ওঠেন, ‘আমাকে ছেড়ে দিন, আমাকে ছেড়ে দিন।’ যেন যুবক তাঁর সঙ্গে কোনও অশালীন কাজ করছেন জোর করে। পুলিশ অফিসারকে দেখে কাঁদতে কাঁদতে যুবতী বলেন,‘স্যার, এই লোকটা আমার সঙ্গে জোর করে অশালীন কাজ করার চেষ্টা করছিল।’ অফিসার সঙ্গে সঙ্গে যুবকের হাত ধরে বলেন, ‘মেয়েদের সঙ্গে অসভ্যতা! চল থানায়।’ যুবক অফিসারের হাতে-পায়ে ধরে বোঝানোর চেষ্টা করেন, মেয়েটি মিথ্য‌ে বলছে, তিনি কিছুই করেননি। কিন্তু অফিসার নাছোড়। তাঁর স্পষ্ট কথা, হয় থানায় যেতে হবে, নয়তো নিদেন পক্ষে যুবকের বাবার ফোন নাম্বার চাই। তাঁর বাবাকে ফোন করে তিনি জানাবেন ছেলের কীর্তি।

এই পর্যন্ত পড়ে অনেকেই শিউরে উঠেছেন নির্ঘাত। আসলে কিন্তু গোটা ব্যাপারটাই ছিল প্র্যাঙ্ক, অর্থাৎ নিছক মজার ছলে। যে যুবককে এই প্র্যাঙ্কের শিকার বানানো হয়েছিল, গোটা মজাটির পরিকল্পনাকারীরা ছিলেন তাঁরই বন্ধু। তাঁরাই ঠাট্টার ছলে বন্ধুর মাথায় টুপি পরালেন। বোকা বানালেন তাঁকে। ভিডিও-র শেষে হাসতে হাসতে তাঁরা ঘরে ঢুকে পড়তেই গোটা ব্যাপারটা স্পষ্ট হয় যুবকের কাছে।-এবেলা

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here