ডেস্ক রিপোর্ট : : অপর্যাপ্ত চিকিৎসা ও ব্যক্তিগত চিকিৎসকের গাফিলতিতেই মৃত্যু হয়েছে আর্জেন্টাইন ফুটবল কিংবদন্তি ডিয়েগো ম্যারাডোনার। সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, এমনটাই নিশ্চিত করেছে ম্যারাডোনার মৃত্যু নিয়ে তদন্ত করা বিশেষ মেডিকেল বোর্ড।

স্মৃতিতে চির অম্লান। সময় সে তো স্রেফ একটা সংখ্যা মাত্র। সত্যিকারের কিংবদন্তিদের যে মৃত্যু নেই। শতবছর পরেও ভক্ত সমর্থকদের হৃদয়ের মণিকোঠায়, তারা থাকেন নিভৃতেই। আর মানুষটি যদি হন ফুটবল ঈশ্বর তবে তো কথা না বাড়ানোই বাহুল্য। প্রস্থানের মাস ছয় পেরিয়ে গেলেও ডিয়েগো ম্যারাডোনার মৃত্যু, এখনও দিচ্ছে আলোচনার জন্ম।

মৃত্যুর পরপরই ম্যারাডোনার মেয়েরা অভিযোগ তুলেছিলেন চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে। অভিযোগের তীর ছিল দেখভালের দায়িত্বে থাকা নার্সদের বিরুদ্ধেও।

মস্তিষ্কে অস্ত্রপচারের পর বাড়িতেই ব্যক্তিগত চিকিৎসক লিওপোলদো লুকের অধীনে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন ৮৬ বিশ্বকাপের নায়ক। মাত্র ৬০ বছর বয়সে তার চলে যাওয়ার কারণ অনুসন্ধানে গঠন করা হয় বিশেষ মেডিকেল বোর্ড। অনুসন্ধান শেষে তাদের দেয়া ৭০ পাতার রিপোর্টে স্পষ্ট করা হয় বাসায় থেকে যে চিকিৎসা চলছিল সেটা যথেষ্ট ছিল না।

মৃত্যুর ১২ ঘণ্টা আগে ভীষণ অসুস্থ হয়ে পড়েন ম্যারাডোনা। সে সময় তাকে চোখে চোখে রাখা হয়নি। ঠিকমতো চিকিৎসা দিতে পারলে এ যাত্রায় হয়তো বেঁচে যেতে পারতেন ম্যারাডোনা মন্তব্য মেডিকেল বোর্ডের। চিকিৎসকের আচরণকে তারা অগ্রহণযোগ্য, বেপরোয়া এবং অদক্ষ বলে মন্তব্য করেছেন। লিওপোলদো লুকের সঙ্গে যেখানে অভিযোগের আওতায় আনা হয়েছে মনস্তত্ত্ববিদ অগাস্তিনা কোসাশোভকেও।

মৃত্যুর আগে তার শরীরে কোনো অ্যালকোহল কিংবা মাদকের উপস্থিতি ছিল না। এখানেই শেষ নয়, ম্যারোডোনার মৃত্যুর ১২ ঘণ্টা পর এ বিষয়ে খবর প্রকাশ করা হয়। তার হৃৎপিণ্ডের ওজন ছিল স্বাভাবিকের চেয়ে দ্বিগুণ।

রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতে ইতোমধ্যে জেরার আওতায় আনা হয়েছে ম্যারাডোনার দুই চিকিৎসককে। তাদের বিরুদ্ধে ভুল চিকিৎসায় হত্যার অভিযোগ আনা হতে পারে। ২০২০ সালের ২৫ নভেম্বর ঘুমের মধ্যে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান কিংবদন্তি দিয়েগো ম্যারাডোনা।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here