ভারতের কংগ্রেস দলের সহ-সভাপতি রাহুল গান্ধী বলেছেন, ‘দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অনেক ব্যক্তিগত দুর্নীতির তথ্য রয়েছে। কিন্তু সেই তথ্য ফাঁসের ভয়েই সরকার আমাকে সংসদে কথা বলতে দিচ্ছে না।

বুধবার দেশটির সংসদের বাইরে সাংবাদিকদের সামনে এসব কথা বলেন তিনি।

রাহুল বলেন, ‘আসলে প্রধানমন্ত্রী ভয় পেয়েছেন। এর জন্যই আমাকে সংসদে বলতে দেওয়া হচ্ছে না। কারণ আমার কাছে প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত দুর্নীতি সম্পর্কে বিস্ফোরক প্রমাণ রয়েছে। ওইসব তথ্য ফাঁস করে দিলে মোদির ইমেজের বেলুন চুপসে যেতে পারে। ‘

যদিও ঠিক কি ধরনের প্রমাণ রয়েছে তা পরিষ্কার করে জানাননি তিনি।

কংগ্রেসের সহ-সভাপতি আরও বলেন, ‘এটা পুরোপুরিভাবে নরেন্দ্র মোদির ব্যক্তিগত তথ্য, এই বিষয়টি নিয়ে আমি লোক সভাতেই বলতে চাই। আমাদের কাছে প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত দুর্নীতি সম্পর্কিত পুরো তথ্য রয়েছে। আমরা এটাকে তুলে ধরতে চাই। ‘

এদিকে মোদির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ মিথ্যে ও ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়ে দেশটির সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অনন্ত কুমার জানান, ‘এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যে, ভিত্তিহীন ও দুর্ভাগ্যজনক। হতাশা থেকেই এই ধরনের অভিযোগ তোলা হয়েছে এবং এজন্য রাহুল গান্ধীকে ক্ষমা চাওয়া উচিত। ‘

তবে রাহুল জানান, ‘প্রত্যেকটি বিরোধী দলই সংসদে নোট বাতিল ইস্যুতে আলোচনা চাইছে। কিন্তু সরকার আলোচনায় রাজি নয়। আমি আগেই বলেছি যে প্রধানমন্ত্রী নিজেই চান না যে আমি লোকসভায় মুখ খুলি। এর ফলে দেশের কোটি কোটি মানুষের জীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। মোদি নিজেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাই সংসদ থেকে তিনি পালিয়ে যেতে পারেন না।

রাহুলের মতে প্রধানমন্ত্রী নিজেই এখন উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। উনি এখন সংসদে থেকে পালিয়ে পপ কনসার্ট ও জনসভা করে বেড়াচ্ছেন। কিন্তু কেন তিনি সংসদে আসছেন না। ভারতের ইতিহাসে এই প্রথমবারের জন্য সংসদে ট্রেজারি বেঞ্চ ও সরকার পক্ষ একসঙ্গে সংসদের অধিবেশন ভণ্ডুল করছে, কারণ সাধারণত বিরোধীরাই সংসদ ভণ্ডুল করে থাকে।

এদিন সংসদের অধিবেশন শুরু হওয়ার আগেই ১৬টি বিরোধী দলের শীর্ষ নেতৃত্ব নিজেদের মধ্যে বৈঠক করেন। সূত্রে জানা যায়, সরকারকে চেপে ধরতে পরবর্তী কৌশল কি হবে প্রধানত সেই বিষয়েই আলোচনা হয় বৈঠকে।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here