rapeiইউনাইটেড নিউজ ডেস্ক ::  যুবতীকে ধর্ষণ করে শ্রীঘরে এক যুবক৷ কিন্তু মেয়ের ধর্ষণের প্রতিশোধ নিতে ধর্ষণের বোনকে ফের ধর্ষণ করলেন এক বাবা৷ এই অপরাধে ধর্ষকের এক ভাইও তাকে সাহায্য করে৷ তারা দুজনে যুবতীকে ধর্ষণ করে তাকে রাস্তার ধারে ফেলে পালিয়ে যায়৷

জ্ঞান ফেরার পর যুবতী নিজেকে রাস্তার উপর পরে থাকতে দেখে৷ তার শরীরের কাপড় ফাটা ছিল৷ এলাকার একটি বাড়িতে গিয়ে সে সাহায্য চাইলে এক মহিলা তাকে নিজের জামা কাপড় পরিয়ে ফের তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে৷
পুলিশকে যুবতী সমস্ত ঘটনার কথা জানায়৷ পাঞ্চাবের গুরুদাসপুর এলাকার ঘটনা৷ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ৷ পুলিশ সূত্রে খবর, গুরুদাসপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন যুবতী তার বয়ানে জানিয়েছে, তার দাদা তার খুড়তুতো বোনকে ধর্ষণ করে অমৃতসর জেলে বন্দি রয়েছে৷ সে প্রতি সপ্তাহেই দাদার সঙ্গে দেখা করতে জেলে যেত৷
ঘটনার দিনও সে সকাল ১০টা নাগাদ দাদার সঙ্গে দেখা করার জন্য বাড়ি থেকে বেড়িয়েছিল৷ সেদিন জেলে গেলেও তার দাদার সঙ্গে দেখা হয়নি৷

বিকেল পাঁচটা নাগাদ গুরুদাসপুর ফেরার জন্য সে অমৃতসর বাস স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়েছিল৷ সেসময়ই দুই অভিযুক্তের সঙ্গে তার দেখা হয়৷ অভিযুক্তরা সম্পর্কে তার পিসতুতো ভাই ও কাকা৷ তারা অমৃতসরের বাসিন্দা৷ তারা জানায় তারাও তাদের গ্রামেই যাচ্ছে৷ এই কারণে যুবতী তাদের সঙ্গে আসে৷ বাস স্ট্যান্ডের বাইকে তারা যুবতীকে গাড়িতে বসায়৷

নির্যাতিতা জানিয়েছে, বটালার কাছে এসে এক জায়গায় গাড়ি থামিয়ে তার কাকা, ভাই ও গাড়ির চালক মদ খায়৷রাত ন’টা নাগাদ তারা বটালা থেকে রওনা দিলে এক নির্জন স্থানে গাড়ি থামিয়ে তার ভাই ও কাকা তাকে ধর্ষণ করে৷ তার পরেই অজ্ঞান হয়ে পড়ে সে৷ জ্ঞান ফিরলে সে নিজেকে রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখে৷

সেখান থেকেই স্থানীয় লোকেরা তাকে হাসপাতালে ভরতি করে৷ যুবতী জানায় তার দাদা তার কাকার মেয়েরে ধর্ষণ করে জেলে বন্দি৷ নিজের মেয়ের ধর্ষণের প্রতিশোদ নিতেই তার কাকা তাকে ধর্ষণ করেছে।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here