ঢাকা :: প্রতিরোধকারী স্বাস্থ্যসেবা পণ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান পুর্নাভা লিমিটেড, আয়োজিত ‘এগ ফেস্ট’- ২১ অক্টোবর সারাদিন মুখরিত ছিলো শিশুদের কোলাহলে। রাজধানীর গুলশান-১ এ অবস্থিত ইমান্যুয়েল’স নিউ হলে উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ‘পুর্নাভা এগ ফেস্ট’। সুস্বাস্থ্যের জন্য ডিমের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে অভিভাবকদের মধ্যে সচেতনতা তৈরির উদ্দেশ্যে পুর্নাভা মজাদার এই উৎসবের আয়োজন করে। অভিভাবকরা বাচ্চাদের সাথে নিয়ে ‘এগ ফেস্ট’ উপভোগ করেছেন।
দিনব্যাপী এ আয়োজনে শিশুদের জন্য ছিল মজাদার ও আকর্ষণীয়, একই সাথে শিক্ষামূলক নানান কার্যক্রম। উৎসব প্রাঙ্গণে ছিল বেশকিছু স্টল। এর স্টলগুলোর মধ্যে ছিল ডিম দিয়ে তৈরি মজাদার খাবারের স্টল এবং শিশুদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার জন্য বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি বিশেষ স্টল।
এছাড়াও শিশুদের সারাদিন আনন্দে মাতিয়ে রাখতে মজার মজার বই পড়ার জন্য বেশকিছু বুক স্টল, শিশুদের জন্য ইয়োগা সেশন, বিভিন্ন শিশু সংগঠন কর্তৃক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশনা, সংগীতের আয়োজন, ম্যাজিক শো, পাপেট শো, ক্লে স্টেশন, চিত্রাংকন, লাফালাফি, রেল ভ্রমণ, বল খেলা, বাচ্চাদের সাথে খেলার জন্য ফান পেট ইত্যাদি মজাদার আয়োজন নিয়ে বিনোদন স্টল। এই সব আয়োজন দিনভর মাতিয়ে রেখেছিল এক দল শিশু। সাথে ছিলেন শিশুর অভিভাবকরাও।
‘এগ ফেস্ট’ এ ঘুরতে আসা একজন অভিভাবক হলেন শারমিন খান পিংকী। তার কাছে এখানে ঘুরতে আসার অনুভুতি জানতে চাইলে বলেন, “এতো শিশুকে একসাথে ঘুরতে, খেলতে দেখে কার না ভালো লাগে বলুন! সত্যি বলতে খুবই ভালো লাগছে। খেলার মাঠবিহীন এই যান্ত্রিক শহরে এরকম আয়োজন আরো বেশি বেশি হওয়া উচিত। তাহলে আমার মতো ব্যস্ত অভিভাবকরা সন্তানের সাথে ভালো কিছু সময় কাটানোর সুযোগ পাবে।”
কথা হলো ফেস্ট-এ ঘুরতে আসা আরেকজন অভিভাবক, আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেড-এর হেড অব ব্র্যান্ড এন্ড কর্পোরেট কমিউনিকেশন মাহজাবীন ফেরদৌস এর সাথে। তিনি বলেন, “ডিম সুস্বাস্থ্যের জন্য অত্যাবশ্যকীয় একটি উপাদান। কিন্তু বাচ্চারা সহজে ডিম খেতে চায় না। আজকে ডিমের নানা রকম মজার ব্যবহার দেখে আমার বাচ্চারা খুবই মজা পেয়েছে। আশা করি এরপর থেকে তারা স্বানন্দে ডিম খাবে এবং সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হবে।”
ফেস্ট এর আয়োজক প্রতিষ্ঠান পুর্নাভা লিমিটেড-এর জেনারেল ম্যানেজার মিশা মাহজাবীন বলেন, “এই অক্টোবর মাসে ‘বিশ্ব ডিম দিবস’ পালিত হওয়ায় অক্টোবরকে আমরা ‘সানশাইন’ মাস হিসেবে উদযাপন করছি। আমাদের চেষ্টা ছিল, সন্তানদের কাছে স্বাস্থ্যকর খাবারের গুরুত্ব বুঝানোর প্রচেষ্টায় অভিভাবকদের সহযোগিতা করা এবং এতে আমরা অভিভাবকদের পক্ষ থেকে ব্যাপক সাড়া পেয়েছি।
সাজিদা ফাউন্ডেশনের সহযোগী প্রতিষ্ঠান আমরাও মানুষ ও বিগ ডাচম্যান এবং মোবা’কে বিশেষ ধন্যবাদ আমাদের সাথে থাকার জন্য।”-প্রেস বিজ্ঞপ্তি