মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল রাখার দাবীতে মাদারীপুরে মানববন্ধন ও স্বারক লিপি প্রদানমোনসিফ ফরাজী সজীব, মাদারীপুর প্রতিনিধি :: সরকারী চাকুরীতে প্রবেশে শতকরা ৩০ ভাগ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল রাখার দাবীতে মাদারীপুর সদর সহ জেলার চারটি উপজেলায় মানববন্ধন করেছে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ। এ সময় তারা সরকারী চাকুরীরত স্বাধীনতা বিরোধীদের চিহিৃত করে বরখাস্তকরাসহ ৬ দফা দাবী উত্থাপন করে জেলা প্রশাসক বরাবর স্বারক লিপি প্রদান করেছে।

জানা যায়, আজ বুধবার সকালে মাদারীপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আয়োজনে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে সরকারী চাকুরীতে প্রবেশে শতকরা ৩০ ভাগ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল রাখার দাবীতে মুক্তিযোদ্ধারা মানববন্ধন করেছে।

এছাড়া শিবচরে ৭১ চত্ত্বর, কালকিনি ও রাজৈরে উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে মুক্তিযোদ্ধারা মানববন্ধন করেছে।

মানববন্ধন শেষে সরকারী চাকুরীরত জামাত-শিবির ও স্বাধীনতা বিরোধীদের চিহিৃত করে বরখাস্তকরা, কোটা সংস্কারের নামে হত্যার গুজব ছড়িয়ে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদের চিহিৃত করে শাস্তির ব্যাবস্থা করা, যুদ্ধাপরাধীদের সকল স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা, ২০১৩ থেকে ২০১২৫ সাল পর্যন্ত অসংখ্য মানুষকে পোড়ানোসহ বিভিন্নভাবে হত্যাকারীদের স্পেশাল ট্রাইবুনাল গঠন করে শাস্তির ব্যবস্থা করা, জামাত-শিবির ও যুদ্ধাপরাধীদের সন্তানদের সরকারী চাকুরীতে নিয়োগ না দেওয়া, মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান ক্ষুন্নকারীদের বিরুদ্ধে হলোকাষ্ট বা জেনোসাইড ডিনায়েল এর আদলে আইন প্রনয়ন করে বিচারের ব্যবস্থা করাসহ ৬ দফা দাবীতে স্ব স্ব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে জেলা প্রশাসকের নিকট তারা স্বরক লিপি প্রদান করেন।

কোঠা বহাল রাখার দাবিতে মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের উদ্যোগে প্রায় ৫শতাধিক মুক্তিযোদ্ধাদের অংশ গ্রহনে ঘন্টা ব্যাপী মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্থানীয় প্রেসক্লাব চত্বরে এ কর্মসুচি পালন করা হয়।

এসময় বক্তব্য রাখেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবদুল জলিল আকন, ডেপুটি কমান্ডার আবদুল মালেক হাওলাদার ও যুদ্ধকালীন কমান্ডার আবদুল হাকিম তালুকদার প্রমুখ।

মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রমথ রঞ্জন ঘটকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর বরাবর স্মরক লিপি প্রদান করা হয়েছে।

এদিকে একই দাবীতে রাজৈর উপজেলা পরিষদ চত্বরে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানদের উদ্যোগে এক মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলার সাবেক কমান্ডার সেকান্দার আলী শেখ. ইউসুব আলী মিয়া, মোঃ বেল্লাল মোল্লা প্রমুখ।

শিবচর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শাজাহান চৌধুরী জানান, আমরা মুক্তিযোদ্ধারা দীর্ঘ ৩০ বছর অবহেলিত ছিলাম। মুক্তিযোদ্ধা স্বপক্ষের সরকার এসে আমাদের এই অবহেলিত জীবনকে স্বচ্ছতা দিয়েছে। এজন্য আমরা সরকারের কাছে কৃতজ্ঞ। কিন্তু আবার সেই ষড়যন্ত্রের ঘ্রান পাচ্ছি। আমাদের দাবী ৩০ ভাগ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল রেখে কোটা সংস্কার করতে হবে।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here