নারায়ণগঞ্জ : নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুলস্না শিল্পাঞ্চলে যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও র‌্যাব ও পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী মাসুদ ওরফে টুন্ডা মাসুদ বাহিনীর চাঁদাবাজি ও নানা অপকর্মে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে ব্যবসায়ী মহলসহ সাধারণ মানুষ।

বিভিন্ন এলাকায় তার বিরুদ্ধে উঠেছে চাঁদাবাজির অভিযোগ। চাঁদা না পেয়ে বিভিন্ন সময় নীরিহ দোকানী ও ব্যবসায়ীদের শারীরিক নির্যাতন করার হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

এদিকে আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নাম ভাঙ্গিয়ে কেউ কোন চাঁদাবাজি বা অপকর্ম করলে ছাড় দেওয়া হবে না বলে বিভিন্ন সভা ও সমাবেশে হুশিয়ারি দিচ্ছেন উক্ত আসনের প্রভাবশালী আওয়ামীলীগ নেতা ও সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান।

অভিযোগে জানা যায়, টুন্ডা মাসুদ বাহিনীর চাঁদাবাজি ও অত্যাচারে অতিষ্ট একাধিক ব্যবসায়ী  (ভয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে) জানান তাদের প্রতিনিয়ত চাঁদা দিতে হচ্ছে। কেউ চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে তার উপর নেমে আসে নানা অত্যাচার। আওয়ামীলীগ নেতা ও পুলিশকে জানালেও কেউ কোন ব্যবস্থা নেয়নি।

এদিকে শুক্রবার রাতে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার লালপুর এলাকায় যুবলীগ সন্ত্রাসী টুন্ডা মাসুদ দাবিকৃত চাঁদা না পেয়ে এক কাশী বাবু নামে এক বাঁশ ব্যবসায়ীকে মারধর করে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাংচুর করেছে তার ক্যাডার বাহিনী।

আহত বাঁশের দোকান মালিক কাশি বাবু অভিযোগ করে জানান, নির্বাচনের পর থেকেই বেপরোয়া হয়ে উঠেছে টুন্ডা মাসুদ। গত কয়েকদিন ধরেই টুন্ডা মাসুদ তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চালাতে হলে তাকে প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দিতে হবে বলে জানায়। শুক্রবার রাতে পুনরায় টুন্ডা মাসুদ তার কাছে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। পরে সে দাবিকৃত চাঁদা প্রদানে অস্বীকৃতি জানালে তাকে মারধর করে গুরম্নতর করে।

এ ব্যাপারে ফতুল্লা থানা যুবলীগের সভাপতি মীর সোহেল আলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, মাসুদ নামের কোন যুবলীগ নেতা আছে বলে তারা জানা নেই। তাছাড়া এমপি একে এম শামীম ওসমান কিংবা যুবলীগের নাম ব্যবহার করে কোন সন্ত্রাসী অপকর্ম করলে তার দায় দায়িত্ব যুবলীগ নিবে না। যুবলীগের নাম ব্যবহার করে কোন সন্ত্রাসী অপকর্ম করলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।

এম আর কামাল/

 

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here