স্টাফ রিপোর্টার :: রাজনীতিতে এসে খেলার উপর থেকে মন উঠে গেছে’। এই সমালোচনার সঙ্গে বাড়তি চাপ বা অনন্য অর্জন হিসেবে যোগ হয়েছে নিজের ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ২০০তম ম্যাচ।
কিন্তু টাইগার অধিনায়কের কাছে এসবের থেকেও উপরে দলের জয়টা। এত সব চিন্তা-দুশ্চিন্তা মাঠের বাইরে রেখে কলার উঁচিয়ে বাইশ গজে নামেন টস করতে।
টসে অবশ্য জেতা হয়নি নিজের মাইলফলকের ম্যাচে। ক্যারিবীয় অধিনায়ক রভম্যান পাওয়েল টস জিতে সিদ্ধান্ত নেন আগে ব্যাট করার। কিন্তু আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্তটা সুখকর হয়নি তাদের।
মাশরাফি মুর্তজা-মুস্তাফিজুর রহমানের বোলিং তোপে দু’শ রানের নিচেই আটকে যেতে হয় সফরকারীদের। ওপেনিং জুটিটা সাকিব আল হাসান ভাঙলেও ক্যারিবীয়দের টপ অর্ডার ভেঙে দেন মাশরাফি।
সঙ্গে মিরাজ-মুস্তাফিজের নিয়ন্ত্রিত বল তো আছেই। দলীয় ২৯ রানের মাথায় কাইরন পাওয়েলের উইকেট নিয়ে শুরুটা করেন সাকিব। এরপর তামিম ইকবালের দুর্দান্ত এক ক্যাচে ড্যারেন ব্রাভোকে ফেরান মাশরাফি।
৪৩ রান করা ওপেনার শাই হোপকেও ফেরান ডান-হাতি এই বোলার। মিরাজের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন হোপ। ক্যারিবীয়দের দলীয় ১১৯ রানের মাথায় রোভম্যান পাওয়েলকে ফেরান টাইগার অধিনায়ক।
১৪ রান করা পাওয়েল ক্যাচ দেন লিটন দাসের হাতে। মাশরাফি একা নন, তিন উইকেট নেন আরেক পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। রোস্টন চেজ, কেমো পল আর দেবেন্দ্র বিশুর উইকেট নেন কাটার মাস্টার।
মুস্তাফিজ দেন ১০ ওভারে ৩০ রান। বাংলাদেশের হয়ে একটি করে উইকেট শিকার করেন মেহেদী হাসান মিরাজ, সাকিব আর রুবেল হোসেন। ৫০ ওভার ব্যাটিং করেও ক্যারিবীয়রা থামে ৯ উইকেটে ১৯৪ রানে।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে স্বাগতিকদের ওপেনিং জুটি ভাঙ্গে দলীয় ৩৭ রানের মাথায়। তামিমকে ১২ রানের মাথায় ফেরান রোস্টন চেজ। এরপর ইমরুল কায়েসকে ব্যক্তিগত ৪ রানের মাথায় বোল্ড করে বিদায় করেন ওশান টমাস।
দলীয় ৪২ রানে নেই স্বাগতিকদের ২ উইকেট। লিটন দাসের সঙ্গে জুটি গড়ে প্রাথমিক ধাক্কাটা ভালোভাবেই সামাল দেন মুশফিকুর রহিম। দুজনে মিলে করেন ৪৭ রানের জুটি।
লিটন ৪১ রানের মাথায় আউট হয়ে গেলেও মুশফিক তুলে নেন ক্যারিয়ারের ৩১তম হাফসেঞ্চুরি। ম্যাচ জেতান ৭০ বলে ৫৫ রানের ইনিংস খেলে। মিস্টার ডিপেন্ডেবল মাঠ ছাড়েন অপরাজিত থেকেই।
শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ২১ বলে ১৪ রান করে। মাঝে সাকিব করেন ৩০ রান, সৌম্য সরকার করেন ১৯ রান। জয় পেতে বাংলাদেশকে খেলতে হয় মাত্র ৩৫.১ ওভার।
৫ উইকেটের জয়ে ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজটা ভালোভাবেই শুরু করল স্বাগতিকরা। ৩০ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়ে নিজের ২০০তম ওয়ানডে ম্যাচটা স্মরণীয় করেই রাখলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা।