ডেস্ক রিপোর্ট:: মালয়েশিয়ায় করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ায় আবারও বাড়ছে করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। এ অবস্থায় ৭ থেকে ২০ মে পর্যন্ত দুই সপ্তাহের জন্য রাজধানী কুয়ালালামপুরসহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে নতুন করে লকডাউন দেয়া হয়েছে। এদিকে মালয়েশিয়ায় ভারতীয় নাগরিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারির পর এবার বাংলাদেশ, পাকিস্তান, নেপাল ও শ্রীলঙ্কার নাগরিকদের দেশটি ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। এ অবস্থায় আতঙ্ক আর অনিশ্চয়তায় দিন কাটাচ্ছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।

ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ায় দেশটি লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। এরই মধ্যে দুই সপ্তাহের লকডাউন দেয়া হয়েছে কুয়ালালামপুরসহ সেলাঙ্গর, তেরেংগানু, জোহর ও পেরাক রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলায়। তবে নিত্যপণ্যের দোকান, সব ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা ও যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

প্রবাসি বাঙালিরা বলছেন, মালয়েশিয়ায় করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ধরা পরার পর লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। সবার মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এভাবে লকডাউন চলতে থাকলে সেখানে বাংলাদেশি প্রবাসীদের দিন কীভাবে কাটবে, তা নিয়েও শঙ্কায় রয়েছেন তারা।

আন্তঃজেলা ও আন্তঃরাজ্য ভ্রমণের পাশাপাশি ১০ কিলোমিটারের বেশি পথ অতিক্রমের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। সাধারণ মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণে মোতায়েন রয়েছে সেনাবাহিনী। বিভিন্ন জায়গায় বসানো হয়েছে চেকপোস্ট। করোনা থেকে বাঁচতে প্রবাসীদের বিধিনিষেধ মেনে চলার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।

মালয়েশিয়ায় বসবাসরত তথ্যপ্রযুক্তি উদ্যোক্তা পাভেল সারওয়ার বলেন, সকলের প্রতি অনুরোধ থাকবে, লকডাউনে মালয়েশিয়া সরকারের বেধে দেয়া বিধিনিষেধ মেনে চলার জন্য। আমরা সরকারের বেঁধে দেয়া নিয়মকানুন মেনে চললেই করোনাকে প্রতিহত করতে পারব।

দেশটি বসবাসরত প্রবাসী সাংবাদিক মোস্তফা ইমরান রাজু বলেন, লকডাউনের কারণে আমরা যারা প্রবাসী বাঙালিরা রয়েছি তারা অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হব। কিন্তু করোনার হাত থেকে বাঁচতে সরকারের বেঁধে দেয়া বিধিনিষেধ মেনে না চলে উপায় নেই।

আন্তর্জাতিক ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় মালয়েশিয়া পোস্ট ডক্টোরাল ফেলো ডক্টর ফয়জুল হক বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থেকে আমরা করোনামুক্ত হতে পারব। সরকারের নির্ধারিত বিধিনিষেধ মেনে চললেই কেবল আমরা করোনাকে প্রতিহত করতে পারব।

এদিকে মালয়েশিয়ায় ভারতীয় নাগরিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারির পর এবার বাংলাদেশ, পাকিস্তান, নেপাল ও শ্রীলঙ্কার নাগরিকদের দেশটি ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি সোশ্যাল ভিজিট পাস ও বিজনেস পাসধারীরা। তবে নির্ধারিত এসওপি প্রয়োগের মাধ্যমে শুধু কূটনৈতিক ভিসাধারীরা শর্তসাপেক্ষে দেশে প্রবেশের অনুমতি পাবেন।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here