বঙ্গবন্ধুর মুখে হাজার বছরের প্রতিক্ষিত কথা শুনতে
রেসকোর্স ময়দানে সমুদ্র জনতা অধির আগ্রহে অপেক্ষায়-
বঙ্গবন্ধু ৭মার্চ শোনালো সেই অমর বাণী – আমার হৃদয়ের কথা,
আমার অস্তিত্বের কথা –
“এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম , এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম”
সেই আহ্বানে গোটা বাংলা এক হলো,
শত্রু বধের মন্ত্রে দীক্ষা নিল , যা আমার চেতনা , যা আমার অস্তিত্ব।
সেই চেতনায় স্বাধীন বাংলা পেলাম , পেলাম একটি লাল সবুজের পতাকা
সেই একটি মন্ত্র আমার অস্তিত্ব । সেই মুক্তিই আমার চিরমুক্তি।
মার্চের সংগ্রামী চেতনায়
একাত্তরের মার্চে সংগ্রামী বাঙালি
মুক্তি না হয় মরণ শপথে দীক্ষা নিল,
বঙ্গবন্ধুর অঙ্গুলিতে পুরো বাংলায় নতুন রূপ।
ছেলেরা মায়ের আঁচলে মুক্ত বাতাস লাগাতে
প্রতিবাদের আগুন জ্বাললো।
সেই আগুনে পাকবাহিনী পুড়লো
ন’ মাস রক্তে ঝরায়ে ষোল ডিসেম্বর
পেলাম একখণ্ড উর্বর জমিন।
যে জমিনে ইচ্ছে মত কর্ষণে সোনা ফলে;
ফুলের ঘ্রাণে সতেজ নিঃশ্বাস নিই,
ইচ্ছে হলে আইলে সবুজ ঘাসে শুয়ে জুড়ায় শরীর।
স্বাধীনতার বাণী
সাত মার্চ মুজিবের ভাষণ
বাঙালির হৃদয়ে করে আসন
সেই ভাষণে সংগ্রাম করে
এলো স্বধীনতা ঘরে।
বাংলার মুক্তির মহামন্ত্র
মুজিবের কণ্ঠ,
বজ্র কণ্ঠের বজ্র বাণী
হলাম স্বাধীনতায় অগ্রগামী।
সংগ্রাম অতঃপর স্বাধীনতা
পঁচিশ মার্চ কালো রাত্রি
পাকবাহিনীর “অপারেশন সার্চলাইট”
ঘুমন্ত বাঙালির শিরে সংক্রান্তি।
নির্মাম সেই রক্তের পিদিম
জ্বলেছিলো জ্বল জ্বল করে
পাকবাহিনীর চোখে।
মাঝ রাতে আর্তচিৎকার গেলো থেমে
জলপাই রঙের গাড়ির চলনে – হর্ণে
অতঃপর সুনশান।
চারদিকে কালচে রক্ত – লাশ
বাংলার কোলে নিরব হাহাকার
তারপর সংগ্রাম; অতঃপর স্বাধীনতা।
মুস্তাক মুহাম্মদ: কারুকাজ, কেশবলাল রোড, যশোর- ৭৪০০, mustakmahammad1993