খোরশেদ আলম বাবুল।
শরীয়তপুর: শরীয়তপুরে মাদ্রাসার ছাত্র নাইম তালুকদারকে (১৪) হত্যার দায় স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে মা লুৎফা। জবানবন্দি গ্রহন শেষে আদালত লুৎফাকে কারাগারে প্রেরণ করেছে। শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায় এক প্রেস ব্রিফিং এ এমন কথা বললেন পুলিশ সুপার সাইফুল্লাহ আল মামুন।
পালং মডেল থানায় পুলিশের প্রেস ব্রিফিং থেকে জানা যায়, গত ১৫ নভেম্বর সকালে সদর উপজেলার দেওভোগ গ্রামের ডোবা থেকে মাদ্রাসা ছাত্র নাইম তালুকদারের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পালং থানা পুলিশ। ৯ দিন নিখোঁজের পর লাশ উদ্ধার হয় কিন্তু পরিবারের পক্ষ থেকে কোন জিডি করা হয়নি। তাই পরিবারের প্রতি পুলিশের সন্দেহের নজর থাকে। এক পর্যায়ে নাইমের মা লুৎফাকে সন্দেহ হয় পুলিশের। বৃহস্পতিবার মা লুৎফাকে আটক করে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এক পর্যায়ে হত্যার দায় স্বীকার করেছে লুৎফা। বিভিন্ন অপকর্মে অতিষ্ট হয়ে মারপিট করলে জ্ঞান হারায় নাইম। পরবর্তীতে দায় এড়াতে বস্তাবন্দি করে পাশের ডোবায় ফেলে দেয় মা লুৎফা।
শুক্রবার সকালে আদালতে অভিযুক্ত লুৎফা স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে। পরবর্তীতে লুৎফাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার সাইফুল্লাহ আল মামুন বলেন, নাইম তালুকদার পরিবারের জন্য হুমকি স্বরম্নপ ছিল। এ বয়সে নাইম নেশা করতো। বাজে ছেলেদের সাথে আড্ডা করতো। রাতে বাড়ি ফিরতো না। ঢাকায় গিয়েও বাপের কাছে থাকতো না। বিদ্যালয়ে যেতো না পরে বকুল তলা মাদ্রাসায় ভর্তি করা হয়। কোন অবস্থাতেই কন্ট্রোলে আসে নাই নাইম। এক পর্যায়ে ছেলেকে শাসন করতে গিয়ে স্পর্শকাতর জায়গায় আঘাত লেগে অজ্ঞান হয় নাইম। পরে দায় এড়াতে বস্তাবন্দি করে ডোবায় ফেলে দেয়।