পশ্চিমবঙ্গে মাওবাদীদের সঙ্গে শান্তি আলোচনা থেকে সরে গেলেন মধ্যস্থতাকারীরা। জঙ্গলমহলের বর্তমান পরিস্থিতিতে শান্তি প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয় বলেই তাঁরা জানিয়েছেন।গতকাল সোমবার মুখ্যমন্ত্রীকে দেয়া চিঠিতে একথা পরিস্কার জানিয়ে দিয়েছেন তাঁরা। ছজন মধ্যস্থতাকারীর মধ্যে পাঁচজন ওই চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন। তবে এব্যাপারে মধ্যস্থতাকারী দলের আরেক সদস্য দেবাশিস ভট্টাচার্য বাকিদের সঙ্গে একমত নন বলে জানানো হয়েছে। চিঠিতে তাঁরা পরিস্কার উল্লেখ না করলেও, আদতে মধ্যস্থতাকারীরা বোঝাতে চেয়েছেন কিষেণজির নিহত হওয়ার ঘটনার জেরেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। ইতিমধ্যেই অভিযোগ উঠেছে, কিষেণজিকে ভুয়ো সংঘর্ষে মারা হয়েছে। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে সরকার নিয়োজিত এই মধ্যস্থতাকারীদের শান্তি প্রক্রিয়া চালিয়ে যাওয়া ছিল কার্যত সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন তাঁরা।

এদিকে কিষেণজীর মৃত্যু ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছে বলে পর্যবেক্ষকমহল মনে করছেন।
কিষেণজীকে মাইকে আত্মসমর্পণ বা বেরিয়ে যাওয়ার সুযোগ দেয়া হয়েছিল। তার আগে তিনদিন তাঁকে এবং সঙ্গীদের ঘিরে রেখেছিল যৌথবাহিনী। কলকাতার বেহালায় নির্বাচনী জনসভায়, কিষাণজীর মৃত্যু সংক্রান্ত এই নতুন, চাঞ্চল্যকর তথ্য জানান স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। তিনি  আরো জানিয়েছেন যে, তাঁর পুলিস, তাঁর স্বরাষ্ট্রদপ্তর কিষেণজীর মৃত্যু বা ঘিরে ফেলা সংক্রান্ত কিছুই তাঁকে জানায়নি। তিনি জেনেছেন সাংবাদিকদের কাছে!
এদিন মমতা ব্যানার্জি  বললেন, ‘‘যা জেনেছি এই প্রথম বলছি। ৩দিন ওদের সুযোগ দিয়েছে। পাশের গ্রামে ৫০০লোক ছিল। পুলিস গুলি চালালে ৫০০লোক মারা যেত। ওদের সারেন্ডার করার সুযোগ দেয়া হয়েছে। পুলিস মাইক ফুঁকে বলে —ফ্রি স্পেস দিচ্ছি বেরিয়ে যান। কেন মারতে যাবো? কিন্তু ওরা শুনলো না। ওরাই গুলি চালাতে শুরু করলো। তাই পুলিসকে গুলি চালাতে হলো।

ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডট কম/শফিকুল ইসলাম/কলকাতা

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here