ঝিনাইদহ: ঝিনাইদহের মহেশপুরে অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত হয়েছে ৩ বছরের শিশু আজমীর হোসেন। জন্মের পর থেকে শিশুটি এই রোগে আক্রান্ত হয়। ফলে গত ৩ বছর ধরে ঝিনাইদহ ও যশোরের বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের চিকিৎসা নিয়েও তাকে সুস্থ্য করতে পারেনি।
ডাক্তাররা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা করেও বলতেও পারেননি আসলে শিশুটি কি রোগে আক্রান্ত। তবে চিকিৎসকরা বলছেন অপুষ্টিজনিত কারণে এই রোগটি হয়ে থাকতে পারে।
এদিকে শিশিুর চিকিৎসায় ডাক্তারের ফি আর পরীক্ষা নিরীক্ষা খরচ যোগাতে একেবারেই নি:স্ব হয়ে গেছে দিনমজুর বাবা। শিশু আজমীর হোসেন মহেশপুর উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের হাবিল হোসেনের ছেলে।
শিশুটির মা আরজিনা খাতুন জানান, জন্মের চারদিন পর থেকে আজমীর হোসেনের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফুলে যায়। এর পর থেকে শরীরে ঘা শুরু হয়। সেই সময় প্রথমে তিনি ঝিনাইদহের শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার অলোক কুমারের কাছে নিয়ে যায়। সে সময় দশদিন শিশুটিকে তার তত্ত্বাবধানে রেখে চিকিৎসার পর তিনি বলেন আমার দ্বারা তার চিকিৎসা সম্ভব না।
এরপর শিশুটিকে যশোরের বিশেষজ্ঞ ডাক্তার গোলাম কিবরিয়ার কাছে নিয়ে যান। সেখানেও শিশুটির চিকিৎসায় কোন পরিবর্তন হয়নি। তারপর নিয়ে যান যশোরের চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার তৌহিদুর রহমানের কাছে। তিনিও চিকিৎসা দিয়ে তাকে সুস্থ্য করতে পারেনি।
মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার নাসির উদ্দিন জানান, শিশুটিকে সমপ্রতি হাসপাতালে আনা হয়েছিল। আসলে আমাদের এখানে পরীক্ষা নিরীক্ষার তেমন কোন ভালো ব্যবস্থা নেই। আমি নিজেও বলতে পারছি না শিশুটি আসলে কি রোগে আক্রান্ত। তাকে যদি কোন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করানো হয় তাহলে আসল রোগ ধরা পড়তে পারে।
মা আরজিনা আরো জানান, আজমীরের শরীরের বিভিন্ন স্থানে গোটা গোট ও ঘা রয়েছে। তার ৩ বছর বয়স অনুযায়ী সে বাড়ছে না। এদিকে ডাক্তারা ঠিকমতো বলতে পারছেনা আসলে সে কি রোগে আক্রান্ত। এনিয়ে পরিবারের সবাই খুবই চিন্তিত।
বাবা হাবিল হোসেন জানান, পেশায় সে দিনমজুর। দিন আনা দিন খাওয়ার সংসারে আজমীরকে চিকিৎসা করাতে গিয়ে একেবারেই নিস্ব হয়ে গেছে। যে ডাক্তারের কাছে যায় সেই শুধু ফি নেয় আর পরীক্ষা করায়। কিন্তু রোগ ধরতে পারে না। তিনি তার ছেলের চিকিৎসায় সমাজের সবার সহযোগিতা কামনা করেন।