স্টাফ রিপোর্টার :: ‘আগামী ২০২১ সালের ৩০ জুনের মধ্যে বাংলাদেশ সরকারের পর্যটন মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন সম্পন্ন হবে। আর এটি হলে এ দেশ নতুন যুগে পা ফেলবে, এশিয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন দেশে পরিণত হবে। এ খাতে ব্যাপক বিনিয়োগ এবং কর্মসংস্থানের দ্বার উন্মোচিত হবে। অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে এ শিল্প।’
রোববার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে পর্যটন মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় আলোচকরা এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত সচিব ড. ভুবন চন্দ্র বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী এমপি।
সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মহিবুল হক। বক্তৃতা করেন ট্যুরিজম বোর্ডের যুগ্ম সচিব আবু তাহের মুহাম্মদ যাবের, পরামর্শক দলের প্রধান বেঞ্জামিন কেরি ও ডেপুটি টিম লিডার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক নুরুল ইসলাম নাজিম এবং আইপিই গ্লোবালের অনুজা সুকলা।
প্রতিমন্ত্রী মাহবুব বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বর্তমান সরকার দেশকে সব ক্ষেত্রে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এই উন্নয়নের ধারার সঙ্গে তাল মিলিয়ে পর্যটনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। বাংলাদেশের পর্যটন মহাপরিকল্পনা একটি বিশাল কর্মযজ্ঞ। এতে সবার অংশগ্রহণ জরুরি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বিশ্বব্যাপী পর্যটকের সংখ্যা বাড়ছে। পর্যটনে উন্নত দেশগুলোর সমকক্ষ হতে হলে সুচিন্তিতভাবে কাজ করতে হবে। পর্যটকদের চাহিদাকে গুরুত্ব দিতে হবে। পর্যটক বৃদ্ধি বা হ্রাসের কারণ নির্ণয় করা জরুরি। পর্যটন মাস্টার প্ল্যানে সেই নির্দেশনা থাকবে। পর্যটন উন্নয়নের সঙ্গে অনেক সেক্টরের উন্নয়ন প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যুক্ত। পর্যটন বিকশিত হলে পরিবহন সেক্টর, হোটেল, মোটেল, রেস্টুরেন্ট, কারুপণ্য ইত্যাদি বিকশিত হবে। কর্মসংস্থান হবে অসংখ্য মানুষের।
সিনিয়র সচিব মো. মহিবুল হক বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের জিডিপিতে পর্যটনের অবদান মাত্র ২ শতাংশ। আগামী বছরগুলোতে একে ১০ শতাংশে উন্নীত করতে পর্যটন মহাপরিকল্পনা সহায়ক ভূমিকা রাখবে। পরিকল্পনা প্রণয়ন শেষে তা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।
পরামর্শক দলের প্রধান বেঞ্জামিন কেরি বলেন, বাংলাদেশে পর্যটন শিল্পে অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। বিশ্বের অন্যতম পর্যটক দেশ হিসেবে বিবেচিত হতে এ দেশকে প্রণীত মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়নে সচেষ্ট হতে হবে।
অধ্যাপক নুরুল ইসলাম নাজিম বলেন, বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পকে বিকশিত করতে আগামী ২০ বছরের মাস্টার প্ল্যানে সংযুক্ত করতে হবে।