স্টাফ রিপোর্টার :: সম্ভাব্য ডেঙ্গু মোকাবেলায় সম্মিলিত উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। এজন্য এলজিআরডি মন্ত্রীর নেতৃত্বে সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয়ে/বিভাগের/সংস্থার দায়িত্বশীল প্রতিনিধিগণের সমন্বয়ে একটি শক্তিশালী জাতীয়/ স্টিয়ারিং কমিটি গঠন করা হবে। ডেঙ্গু মোকাবেলায় প্রতিটি মন্ত্রণালয়/বিভাগের করনীয় নির্ধারণ করে মন্ত্রীর স্বাক্ষরে একটি আধা সরকারি পত্র প্রেরণ করা হবে।
সম্মিলীত উদ্যোগের অংশ হিসাবে দুই সিটি কর্পোরেশন, ক্যান্টনমেন্ট এলাকা, বেসরকারী বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ একযোগে মশক নিধন অভিযান শুরু করবেন। স্থানীয় সরকার বিভাগ সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে সময়সীমা নির্ধারণ করে দিবেন।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে মশক নিধন ও ডেঙ্গু প্রতিরোধ সংক্রান্ত এক আন্তঃ সভা অনুষ্ঠিত হয়। স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম সভাপতিত্ব করেন।
মন্ত্রী বলেন, সরকারি ভবন, লেক, পার্ক, খাল রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করবে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর বা কর্তৃপক্ষ কিন্তু মশা মারার কাজ করবে সিটি কর্পোরেশন।
দীর্ঘ ছুটির সময় বন্ধ থাকা সরকারি-বেসরকারি অফিসগুলো থেকে এডিস মশার উৎপত্তি যেন না হয় তা নিশ্চিত করারও নির্দেশ দিয়েছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গত ৩০ মার্চ করোনা ভাইরাস সংক্রমনের বিষয়ে ৬৪টি জেলায় ভিডিও কনফারেন্স করেন। এসময় তিনি করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের পাশাপাশি মশক নিধন এবং ডেঙ্গু প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের জন্য স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী এবং সিটি কর্পোরেশনের মেয়রগণকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা প্রদান করেন।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ হতে ভিডিও কনফারেন্সেসংযুক্ত হয়ে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মশক নিধনে সর্বাত্বক উদ্যোগ গ্রহণের প্রতিশতি ব্যক্ত করেন। এ প্রেক্ষিতে আজ ০২ এপ্রিল এলজিআরডি মন্ত্রীর সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহীদুল্লাহ খন্দকার, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ নাসিরুজ্জামানসহ সিটি কর্পোরেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণ উপস্থিতি ছিলেন।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ লেকগুলো পরিস্কার করে দিলে আমরা ওষুধ ছিটাবো। তাহলে মশা মরবে। এটাই সময় একসাথে কাজ করার। আমি ১৫ মে দায়িত্ব পাবো, কিন্তু এখন থেকেই কাজ করে যাচ্ছি।
সভায় কৃষি সচিব জানান, ৩টি প্রতিষ্ঠান কীটনাশক আমদানি করে। তাদের কাছ থেকে যে কেউ কীটনাশক কিনতে পারে। তাছাড়া ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনকেও সরাসরি কীটনাশক আমদানির অনুমতি দেয়া হয়েছে।