মমতা ব্যানার্জিডেস্ক নিউজ :: শেষ পর্যন্ত মমতা ব্যানার্জির চীন সফর ‘না’ করে দিয়েছে নয়াদিল্লি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল চীন সরকার।
প্রাথমিকভাবে স্থিরও হয়ে গিয়েছিল, মাওয়ের দেশে যাবেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু পরে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এ সিদ্ধান্ত পাল্টে যায়। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্রের বক্তব্য, চীনের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান টানাপড়েনের প্রেক্ষাপটে কোনও মন্ত্রী এই মুহূর্তে সে দেশে সফর করুন তা প্রধানমন্ত্রী চাইছেন না।
এদিকে আগামী মাসে চীনে ‘ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড’ শীর্ষক মেগা-প্রকল্পের সম্মেলনে যাওয়ার আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। একইভাবে আগামী ১৪ তারিখে নয়াদিল্লিতে ভারত-রাশিয়া-চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকেও অনুপস্থিত থাকছেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা চীনের ইউনান প্রদেশের কুনমিং ‘সিস্টার সিটি’। তাই মমতাকে প্রাথমিকভাবে কুনমিং যাওয়ার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তাতে রাজি হয়েছিলেন মোদী। কিন্তু অরুণাচল প্রদেশে দলাইলামার সফরের পর রীতিমতো হুমকি দেয়া শুরু করে বেইজিং। অরুণাচলের ছয়টি এলাকার নাম বদলের ঘোষণা, রাজধানীতে ত্রিপক্ষীয় আলোচনা বয়কট, ভারতের ধারাবাহিক আপত্তি সত্ত্বেও ‘ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড’-এর মাধ্যমে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে আর্থিক করিডোর তৈরির মতো একের পর এক ঘটনা ঘটিয়ে চলেছে বেইজিং।
সূত্রের খবর, কেন্দ্রের আশঙ্কাও ছিল যে, টালমাটাল এই দ্বিপক্ষীয় পরিস্থিতিতে মমতাকে নিয়ে গিয়ে তাকে কোনো ফাঁদে ফেলতে পারে বেইজিং। সীমান্তবর্তী রাজ্য হিসেবে পশ্চিমবঙ্গের গুরুত্ব যথেষ্ট। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা মনে করেন, এর সঙ্গে জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়টিও ওতপ্রোতভাবে যুক্ত। মমতা নিজেও এ সম্পর্কে সচেতন। তাই এই ছাড়পত্র না পাওয়ার বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্র-বিরোধী কোনও রাজনীতি করতে চাননি তিনি।
Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here