ুাৃ অর্িজহিরুল ইসলাম শিবলু, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি :: বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী একেএম শাহজাহান কামালের বাড়ির সৌন্দর্য রক্ষায় লক্ষ্মীপুরে দোকান-পাট ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ করছে ব্যবসায়ীরা। এ ঘটনার প্রতিবাদে ব্যবসায়ীরা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করছে।

রবিবার দুপুরে শহরের চকবাজার এলাকায় ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করে ব্যবসায়ীরা। এ সময় বক্তব্য রাখেন, লাবনী ফ্যাশনের মালিক আলাউদ্দিন, আল-আমিন ফার্মেসীর মালিক পরাজিত বাবু প্রমুখ।

ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলেন, জেলা পরিষদ থেকে ইজারা নিয়ে র্দীঘ শত বছর ধরে এখানে ব্যবসা করে আসছেন তারা। পাশে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী একে এম শাহজাহান কামাল বহুতল ভবন নির্মান করেন। মন্ত্রীর বাড়ির সৌন্দর্য রক্ষায় র্দীঘদিন ধরে দোকান-পাট সরিয়ে নেয়ার জন্য বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগ করে আসছেন। শনিবার গভীররাতে মন্ত্রীর ভাগিনা জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক জিয়াউল করিম নিশানের নেতৃত্বে ৫০/৬০জনের একদল ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আবুল হোসেন বাবলুর মেগা কালেশন নামে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি ভেঙ্গে চুরমার করে দোকানে থাকা টাকা পয়সাসহ বিভিন্ন মালামাল লুট করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন তারা।

এর আগে গত ২৩ সেপ্টেম্বর রবিববার বিকেলে বায়েজিদ পোশাক বিতান, সজীব স্টোর ও বিন্দু কালেকশন নামে আরো তিনটি দোকান উচ্ছেদ করে প্রশাসন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাঃ শাজাহান আলি, সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. সাব্বির রহমান সানি, জেলা পরিষদের লোকজন ও সদর থানা পুলিশ। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা।

জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক জিয়াউল হক নিশান দোকান পাট ভাংচুরের সাথে তিনি বা তার কোন নেতাকর্মী জড়িত নয় বলে দাবী করেন। জেলা পরিষদের সম্পত্তি উচ্ছেদ বা ভাংচুর তারা করছে। এটার সাথে কোন ছাত্রলীগ নেতাকর্মী জড়িত নয়।

বনিক সমিতির সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম সালাউদ্দিন টিপু জানান, মন্ত্রীর বাড়ির সৌন্দর্য অথবা মন্ত্রীর হস্তক্ষেপে যদি আর কোন ব্যবসায়ীর দোকানপাট ভাংচুর বা উচ্ছেদ করা হয়। তাহলে ব্যবসায়ীরা দোকানপাট বন্ধ করে অনিদিষ্টকালের জন্য ধর্মঘাটের ডাক দিবে। অনতিবিলম্ভে উচ্ছেদ ও ভাংচুরকৃত দোকানগুলো দ্রুত মেরামত করে দেয়ার দাবী জানান তিনি।

জেলা পরিষদের সদস্য মাহাবুবুর রহমান দোকান উচ্ছেদ ও ভাংচুরের বিষয়টি তাদের কেউ জানেন না বলে তিনি জানান।

এ বিষয়ে জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু দাউদ মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফাসহ কোন কর্মকর্তাই কথা বলতে রাজি নয়।

এদিকে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী একেএম শাহজাহান কামালের সাথে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here