এন এম জিকু, ভোলা
ভোলা লালমোহনের লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউনিয়নের পেয়ারি মোহন গ্রামে ২৮ ডিসেম্বর বুধবার মধ্য রাতে স’ানীয় দক্ষিন পেয়ারীমোহন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ফয়েজ উল্যাহ মাস্টারের বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি হয়েছে।
ডাকাত’রা পিটিয়ে ও কুপিয়ে ঐ পরিবারের ৭ জনকে আহত করে ঘরের মূল্যবান জিনিসপত্র ও কয়েক লাখ টাকার স্বার্ণালংকার নিয়ে যায়। এসময় আহত হয় ফয়েজ উল্যাহ মাস্টার (৬০), তার ছেলে তৈয়ব (৩০), শাহাদত (৩৩) সোহেল (২২) সিঙ্গাপুর ফেরৎ মেয়ের জামাতা মুসলিম (২৩)।
ভোর ৫টার দিকে আহতদের পার্শবর্তী চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস’্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে ফয়েজ উল্যাহ মাস্টারের অবস’া আশংকা জনক হওয়ায় তাকে ঢাকায় স’ানান্তার করা হয়েছে। ডাকাতরা তাকে পিটিয়ে বেশ কয়েকটি দাঁত ফেলে দেয় বলে জানান পরিবারের সদস্যরা। সংবাদ পেয়ে বুধবার সকাল ৯টায় লালমোহন সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার সাইফুদ্দিন শাহিন এবং ওসি হারুন অর রশিদ ঘটনাস’ল পরিদর্শন করেন।
তৈয়ব জানান, রাত অনুমান ১টার দিকে ১০-১২ জন ডাকাত ঘরের সামনের কপাট খোলার জন্য ধাক্কা-ধাক্কি করে। চতুর্দিক থেকে টর্চলাইট মারা শুরু করে। এতে আমরা আংকিত হয়ে ডাকাত বলে চিৎকার শুরু করলে ডাকাতরা শাবল দিয়ে পিটিয়ে ঘরের সামনের কপাট ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে প্রথমেই আব্বাকে বাহিরে উঠানে নিয়ে পেটাতে থাকে। এক পর্যায়ে আব্বার ঘারে কোপ দেয়। আবার তাকে পিটিয়ে সারা শরীর জখম করে। এতে তার ৬টি দাঁত উপড়ে যায়।
একদিকে আব্বাকে পিটাচ্ছে অপরদিকে আরো কয়েকজন ঘরের মধ্যে ঢুকে দা ও কুড়াল দেখিয়ে আমার স্ত্রী নাহিদা এবং বেড়াতে আসা আমার বোন রাবেয়া সহ আমাদের সবাইকে জিম্মি করে আম্মাকে পিটিয়ে তার কাছ থেকে আলমিরার চাবি নিয়ে আলমিরা খুলে প্রায় একলাখ টাকা ও তিন ভরির মতো স্বর্ণ নেয়। পরে আমার মা, স্ত্রী ও বোনকে পিটিয়ে তাদের সাথে থাকা আরো প্রায় ৪ ভরি স্বর্ণ নিয়ে যায়। ডাকাতদের ভয়ে আমাদের ডাক চিৎকারে কেউ এগিয়ে আসেনি। ভোর ৫টার দিকে স্বজনরা আমাদেরকে চরফ্যাশন হাসপাতালে ভর্তি করে। তৈয়ব আরো জানান, ১০-১২ জন ডাকাতের মধ্যে আমরা দু’জনকে চিনতে পেরেছি। বিরাজমান রাজনৈতিক পরিবেশের কারনে এ মূহুর্তে তাদের নাম বলছি না। ১৯৯৭ সালের ইউপি নির্বাচনের দিনও আমাদের বাড়িতে একবার ডাকাতি হয়েছিল। গত কয়েকদিন আগে আমার ভগ্নিপতি মুসলিম সিঙ্গাপুর থেকে দেশে আসলে স’ানীয় একটি চক্রের কুনজর পরে।
লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাসেম জানান, সকালে আমি বিষয়টি স’ানীয় ইউপি মেম্বার মিলন মাস্টার ও ব্যবসায়ী রহমানের মাধ্যমে জানতে পেরেছি। আমি বিষয়টি জেনে খুবই মর্মাহত।
লালমোহন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ জানান, এ ব্যাপারে থানায় মামলার প্রস্ততি চলছে।