ইউনাইটেড নিউজ ২৪ ডেস্ক ::

ভোক্তা স্বার্থ সুরক্ষায় সরকার যথাযথ আইন প্রনয়ণ ও সুশৃঙ্খলভাবে ই-কমার্স পরিচালনার জন্য কাজ করছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

তিনি বলেন,‘কোভিড অতিমারির মধ্যে আমাদের প্রত্যাশার চেয়েও ই-কমার্সের বিকাশ ঘটেছে। কিছু প্রতিষ্ঠান গ্রাহকের সাথে প্রতারনা করেছে বটে, কিন্তু গ্রাহকদেরও এ ব্যাপারে আরও সচেতন হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে।’ তিনি বলেন, এই ঘটনায় সরকার তার এড়াচ্ছে না। আমরা সম্ভাবনাময় এই খাতকে শৃঙ্খলার মধ্যে নিয়ে আসতে চাই।

রোববার রাজধানীর নিউ ইস্কাটনে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের সভাকক্ষে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন এবং ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) আয়োজিত ‘প্রতিযোগিতা আইন বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাজারে সুষ্ঠু প্রতিযোগিতাপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টিতে ইআরএফ এর ভুমিকা’ বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ই-কমার্সের বিষয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরির ক্ষেত্রে প্রচার মাধ্যম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ডিজিটাল বাণিজ্য বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। বাংলাদেশ এ ক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকার কিংবা গুটিকয়েক অসৎ প্রতিষ্ঠানের কারনে ই-কমার্স বন্ধ করে দেয়ার সুযোগ নেই।

তিনি বলেন, করোনার সময় ই-কমার্স ভোক্তাদের সেবায় কাজ করে সুনাম অর্জন করেছে। বিগত দু’টি ঈদুল আযহায় কোরবাণির পশু ক্রয়-বিক্রয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ই-কমার্স সম্পর্কে মানুষের ধারনা পরিষ্কার থাকা প্রয়োজন। এ জন্য জনসচেতনতা বাড়াতে হবে, সাংবাদিকরা এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করতে পারেন। তিনি বলেন, দেশের উন্নয়নের সাথে মানুষের আর্থিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে এবং ক্রয় ক্ষমতা বেড়েছে। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে অসৎ উদ্দেশ্যে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান মানুষকে প্রতারিত করার চেষ্টা করছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

তিনি আরও বলেন, এর আগে যে সকল প্রতিষ্ঠান মানুষকে প্রতারিত করেছে, সেগুলোর অনেক সম্পদ আছে। সম্পদগুলো বিক্রি করলে অনেকের পাওনা পরিশোধ করা সম্ভব। এসব বিবেচনায় নিয়ে সরকার কাজ করছে বলে তিনি জানান।

টিপু মুনশি বলেন, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন একটি নতুন প্রতিষ্ঠান, যেটি বাজারে সুষ্ঠু প্রতিযোগিতা  নিশ্চিত করার কাজ করছে। প্রতিযোগিতা আইন বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সংবাদমাধ্যমের ভূমিকা অগ্রগণ্য বলে তিনি উল্লেখ করেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারপার্সন মো. মফিজুল ইসলাম বলেন, কমিশন প্রচার মাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যের উপর ভিত্তি করে স্বপ্রনোদিত হয়ে অনেক বিষয়ে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। প্রতিযোগিতা বিরোধী কর্মকান্ডের অভিযোগে স্ব-প্রণোদিত হয়ে মামলা করা হয়েছে। প্রতিযোগিতা আইন বাস্তবায়নের মাধ্যমে সুষ্ঠু প্রতিযোগিতাপূর্ণ বাজার তৈরির জন্য তিনি সংবাদমাধ্যমের সহযোগিতা কামনা করেন।

কর্মশালায় অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের সদস্য বি এম সালেহ উদ্দীন, ড. মো. মনজুর কাদির, নাসরিন বেগম, কমিশনের উপদেষ্টা ব্যারিষ্টার মাফরুহ মুরফি, ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) প্রেসিডেন্ট শারমীন রিনভী ও সাধারণ সম্পাদক এস এম রাশিদুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here