খোরশেদ আলম বাবুল, শরীয়তপুর প্রতিনিধি :: শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তিতে ফি নেয়ার অফিযোগ উঠেছে এক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। শিক্ষার্থী ও শিক্ষার্থী অভিভাবকতগণ ফি প্রদানের কথা স্বীকার করলেও প্রধান শিক্ষক বলছেন ভিন্ন কথা।
সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, উপজেলার ৯৯ নং নাওভাঙ্গা ছলেমান মালের বাড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিনারা বেগম ২০১৮ শিক্ষা বর্ষে ভর্তির সময় প্রতি শ্রেণীর প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ১শ টাকা করে আদায় করেছেন। স্থানীয় ও শিক্ষার্থী অভিভাবকদের ধারনা এ টাকাই ভর্তি ফি।
দ্বিতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী জিহাদ হাসানের মা কল্পনা আক্তার, চতুর্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থী রাফিমের দাদী উরিহা বেগম ও পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থী আফরানের মা শাহীনার সাথে কথা বলে জানা যায়, নতুন শ্রেণীতে ভর্তির সময় প্রধান শিক্ষক প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ১শ টাকা করে আদায় করেছে। পূর্ববর্তী প্রধান শিক্ষক নাসির উদ্দিন মালও নতুন শ্রেণীতে ভর্তির সময় ১শ করে টাকা আদায় করতেন।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিনারা বলেন, আমার বিদ্যালয়ে ২শ ৮০ জন শিক্ষার্থীর জন্য ৪ জন শিক্ষক রয়েছে। প্রধান শিক্ষক হিসেবে আমি বিভিন্ন সময় উপজেলা অফিসে যাই। অবশিষ্ট ৩ জন শিক্ষক ২শ ৮০ জন শিক্ষার্থী সামাল দিতে হিমসিম খায়। তাই একজন প্যারা শিক্ষক (খন্ডকালীন) নিয়োগ দেয়া হয়েছে। প্যারা শিক্ষককে প্রতি মাসে ৩ হাজার টাকা সম্মানি দিতে হয়। বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সহ বিভিন্ন স্কুল ও উপজেলা পর্যায়ে খেলাধুলার জন্য শিক্ষার্থী পাঠাতে হয়। এ জন্য সরকারী কোন বরাদ্দ নাই। সেজন্য শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ১শ করে টাকা নেয়া হয়। পূর্ববর্তী প্রধান শিক্ষকই এ নিয়ম করেছে।
তিনি আরও বলেন, পূর্বের প্রধান শিক্ষক নাছির উদ্দিন মাল এ বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য ছিলে। তিনি মারা যাওয়ার পর দের বছর যাবৎ আমি প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে আছি। বর্তমানে নতুন কমিটির প্রস্তাবনায় তার ভাই নাইমুল মালকে দাতা সদস্য করা হয়। নাইমুল মাল ও তার লোকজন কমিটির সকল পদ দাবী করে। কমিটির সকল পদ তাদের দেয়া হবে না বলায় আমার বিরুদ্ধে এ মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে।