স্টাফ রিপোর্টার :: ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ জানিয়েছেন, ভূমি সংক্রান্ত যে কোনো হয়রানির কথা সরাসরি মন্ত্রণালয়ে জানাতে হটলাইন চালু হচ্ছে। আগামী মাসেই এ হটলাইন নম্বর চালু হবে। এর মাধ্যমে দেশের যে কোনো প্রান্ত থেকে ভুক্তভোগীরা তাদের সমস্যার কথা জানাতে পারবেন। অভিযোগ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে মন্ত্রণালয়।

এ সময় যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল ইউনিভার্সিটির পিএইচডি ক্যান্ডিডেট মার্টিন ম্যাটসন, ইন্টারন্যাশনাল গ্রোথ সেন্টারের কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. ইমরান মতিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। ভূমিমন্ত্রী বলেন, আমরা হটলাইন চালু করছি। আগামী মাসের মধ্যে এটি চালু হবে। এর মাধ্যমে জনগণ ভূমি সংক্রান্ত সমস্যা জানাতে পারবেন।

প্রবাসীদের জন্যও একটি ডেডিকেটেড ওয়েবসাইট করছি। এর মাধ্যমে প্রবাসীরাও তাদের সমস্যা জানাতে পারবেন। সাড়ে চার কোটি আরএস ও সিএস খতিয়ানের মধ্যে পৌনে চার কোটি ডাটাবেজে আপলোড করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এগুলো সবাই অনলাইনে পাচ্ছে। বাকি ৫০ হাজার আপলোড করতে পারলেই এক্ষেত্রে শতভাগ হয়ে যাবে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত আইসিটি প্রতিমন্ত্রীর উদ্দেশে ভূমিমন্ত্রী বলেন, ভূমি সংক্রান্ত সব মন্ত্রণালয় এবং যাতে একই সঙ্গে ডিজিটালাইজেশন করা হয়, সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। পুরো সিস্টেমটা ডিজিটালাইজেশন হয়ে গেলে কে কোন মন্ত্রণালয়ে, সেটা দেখার বিষয় থাকবে না।

অনলাইনে কাজটা শেষ হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে হয়রানি বা কোনো সমস্যা থাকবে না। মন্ত্রণালয় ব্রিটিশ ও পাকিস্তান আমলের ভূমি আইন সংশোধন করে সময়োপযোগী করার উদ্যোগ নিয়েছে বলেও জানান সাইফুজ্জামান চৌধুরী।

সংবাদ সম্মেলনে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, প্রায় ৩০ লাখ মামলা কোর্টে পেন্ডিং রয়েছে। এর মধ্যে বেশির ভাগই হচ্ছে ভূমি সংক্রান্ত। ভূমি খাতটা পুরোপুরি ডিজিটালাইজেশন হয়ে গেলে মামলার জট অর্ধেক কমে যাবে। ভূমি ডিজিটালাইজেশনের জন্য প্রথমে বিদ্যুৎ দরকার। এরপরই হচ্ছে ইন্টারনেট সংযোগ।

ইন্টারনেট সংযোগ না দিতে পারলে ডিজিটালাইজেশন সম্ভব নয়। তাই ২০২১ সালের আগেই ইউনিয়ন পর্যন্ত যে সাড়ে তিন হাজার ভূমি অফিস রয়েছে, সবই হাইস্পিড ফাইবার অপটিক ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগের আওতায় নিয়ে আসব। এখন উপজেলা পর্যন্ত ই-মিউটেশনসহ অন্য কাজগুলো হচ্ছে।

এটাও ২০২১ সালের মধ্যে ইউনিয়ন পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারব। এছাড়া ২০২১ সালের মধ্যে ভূমি খাতকে পুরোপুরি ডিজিটালাইজেশনের সব ধরনের সফটওয়্যার সার্ভিসের ব্যবস্থা করা হবে।

আইসিটি খাতে গত দশ বছরে প্রায় ১০ লাখ তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান তৈরি করতে পেরেছি। এ খাতে ২০২৫ সালের মধ্যে আরও ১০ লাখ কর্মী তৈরি করতে পারব। আজ থেকে ১০ বছর আগে ৫৬ লাখ ইন্টারনেট ব্যবহার করত। এখন সেটা সাড়ে ৯ কোটি ছাড়িয়ে গেছে।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here