ভুল চিকিৎসায়জাহিদ আবেদীন বাবু, কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি:: যশোরের কেশবপুরে হোসেন প্যাথলজি এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের ভুল আল্ট্রাসনো রিপোর্টের কারণে এক অন্ত:সত্তা গৃহবধুর গর্ভের সন্তান নষ্ট হয়ে গেছে। বর্তমান ওই গৃহবধূ খুলনার একটি ক্লিনিকে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ ব্যাপারে প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করা হয়েছে। তিনি অভিযোগটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার মজিদপুর গ্রামের ইয়াছিন আলীর স্ত্রী আসমা খাতুন গর্ভবতী কি না তা পরীক্ষা নিরীক্ষা করানোর জন্য গত ২৩ জানুয়ারী কেশবপুর হাসপাতাল সংলগ্ন হোসেন প্যাথলজি এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই ক্লিনিকের ডাক্তার রিপন রায় এর পরামর্শে হোসেন প্যাথলজি এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টার থেকে তার স্ত্রীর প্রসাব, আল্ট্রাসনো ও ইসিজি করানো হয়।

ওই ডাক্তার মেডিকেল রিপোর্টগুলো দেখে ইয়াছিন আলীকে জানান, তার স্ত্রীর গর্ভে কোন সন্তান নেই। তখন তিনি একটি ব্যবস্থাপত্র লিখে দিয়ে সে মোতাবেক ওষুধ খেতে বলেন। এ ওষুধ খাওয়ার পর তার স্ত্রীর ব্ল¬াড ভাঙতে শুরু করে। এতে তার অবস্থার অবনতি হলে গত ১ ফেব্র“য়ারী পিয়ারলেস মেডিকেল সার্ভিসেস এর ডা. বোরহান উদ্দীন চৌধুরীর কাছে নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা করানো হয়। এ মেডিকেল রিপোর্টগুলো দেখে ওই ডাক্তার ইয়াছিন আলীকে জানান,ওষুধ খাওয়ানোর কারণে তার স্ত্রীর গর্ভের সন্তান নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

এতে সন্দেহ হলে গত ৯ ফেব্র“য়ারী তার স্ত্রীকে কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সের ডা. সাবেরা খাতুনের কাছে নিয়ে গেলে তিনি উন্নত চিকিৎসার পরামর্শ দিলে ওই দিনই মনিরামপুর প্যাথ ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে নিয়ে তার স্ত্রীকে পরীক্ষা নিরীক্ষা করানো হয়। এসময় সেখানকার ডা. অঞ্জলী রায় জানান, তার গর্ভের সন্তান নষ্ট হয়ে গেছে।

বর্তমান তার স্ত্রী মারাত্বক অসুস্থ হয়ে খুলনার একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ইয়াছিন আলীর অভিযোগ, হোসেন প্যাথলজি এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের ভুল আল্ট্রাসনো রিপোর্ট এবং ডা. রিপন রায়ের ভুল চিকিৎসায় তার স্ত্রীর গর্ভের সন্তান নষ্ট হয়ে গেছে। যে কারণে তিনি অভিযোগটি করেছেন।

এ ব্যাপারে হোসেন প্যাথলজি এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের মালিক ও কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সের চাকুরীজীবি আব্দুল হামিদ জানান, আল্ট্রাসনো রিপোর্টে কোন ভুল নেই। যে সময় ওই রোগীর আল্ট্রাসনো করা হয়েছিল সে সময় রিপোর্টে গর্ভে সন্তান আছে কিনা তা ধরা পড়েনি।

Print Friendly, PDF & Email

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here